সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির পরও সুনামগঞ্জে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পঞ্চরত্ন বাউলের মধ্যমণি গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) কে স্মরণ করেছেন ভক্ত স্রোতা ও আশেকানরা। রবিবার বিকেল থেকে ৭ ডিসেম্বর ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ওরস মাহফিল ও ভার্চুুয়াল প্রোগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই শিল্পীকে স্মরণ করা হয়। ৬ ডিসেম্বর রবিবার রাতে বাউল কামাল পাশার ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে ভার্চুয়াল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এতে দিরাই থেকে বাউল আলীনূর, সিলেট থেকে বাউল বিরহী কালা মিয়া, সুনামগঞ্জ থেকে বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল, শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত প্রশিক্ষক দিপায়ন চৌধুরী চয়ন, শিল্পী মাকসুদুর রহমান দীপু, হৃদয় আহমেদ ও শিশু শিল্পী অদিত চৌধুরী সংযুক্ত হয়ে সংগীত পরিবেশন করেন। জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল এর উপস্থাপনায় ও গীতিকার নির্মল কর জনির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ৮ বারের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেশের সর্বপ্রথম গণসংগীত পরিবেশনকারী এই শিল্পীকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
অন্যদিকে সোমবার ভোর পর্যন্ত বাউল কামাল পাশার গ্রামের বাড়ী সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ভাটিপাড়া গ্রামে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ধরমপুর গ্রামে ও সদর উপজেলার বনগাঁও সীমান্তে মরহুমের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ওরস মাহফিলে সংগীত পরিবেশন করেন,বাউল আমজদ আলী, বাউল আব্দুল কাইয়ুম, বাউল শিল্পী ছারোয়ার আলম তালুকদার, বাউল রোহেল মিয়া,বাউল আইনুল মিয়া ও বাউল সুয়েদ মিয়া।