ঢাকায় আদম ব্যাপরীদের হাতে খুন হওয়া সিলেটের শাহেদ এর লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল সোমবার মুগদা থানা পুলিশ নিহতের ভাই শামীমের কাছে এ লাশ হস্তান্তর করেন। নিহত শাহেদ আহমদ (২৬) দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়নের বলদি শুরিগাঁও গ্রামের সাবেক মেম্বার আখলিছ মিয়ার ছেলে। এদিকে আদম ব্যাপারীদের হাতে শাহেদ খুন হওয়ার ঘটনায় গত রোববার রাতে পল্টন এলাকা থেকে জড়িত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে আশরাফুল ও সুনামগঞ্জের দিরাই থানার আনোয়ার।
এ ঘটনায় নিহত শাহেদের ভাই শামীম আহমদ বাদি হয়ে ঢাকার মুগদা থানায় ৩জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং মামলা নং ৩৪/১৭।
আটককৃতদেরকে তথ্য মতে পুলিশ জানায়, শাহেদ স্পেন যাওয়ার জন্যে শুরিগাও গ্রামের রাজ্জাকের ছেলে শাহীনসহ পাঁচ আদম ব্যাপারীর কাছে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা জমা। বিদেশ যাওয়ার জন্যে গত ১৫ জুলাই সিলেট থেকে ঢাকায় যান শাহেদ সহ পাঁচ আদম ব্যাপারী। তারা ঢাকায় গিয়ে মুগদা থানা ব্যাংক কলোনীর একটি বাসায় উঠেন। ২২ জুলাই শনিবার দিবাগত রাতে আদম ব্যাপারীরা শাহেদকে মাথায় অঘাত করে হত্যা করা হয়। শরীরেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। পরে শাহেদের লাশ ব্যাংক কলোনীর পাশে ফেলে যায় হত্যাকারীরা। খবর পেয়ে পরদিন রোববার মুগদা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। গতকাল সোমবার ময়না তদন্ত শেষে নিহত শাহেদের পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়।
পরে রাতেই সিলেটে এসে রাত ১১টার দিকে নিহত শাহেদের নামাজে জানাযা শেষে পাবিারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। শাহেদ চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ছিলো তৃতীয়।
নিহত শাহেদের বাবা আখলিছ মিয়া জানান, আমার ছেলে শাহেদ অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে ভর্তি এমন ছবি গত শনিবার রাতে শাহিন নিহত শাহেদের মায়ের মোবাইলে প্রেরন করে। এর আগে শাহেদ অসুস্থ বলেও সংবাদ দেয়। কিন্তু এরপর আর কোন তথ্য মিলেনি শাহেদের। খবর না পেয়ে নিহতের ভাই শামীম আহমদ ঢাকার মুগদা থানায় গেলে থানা পুলিশ লাশের ছবি দেখালে তারা লাশটি সনাক্ত করেন।
এদিকে শাহেদ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে মুগদা থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, একটি অদম ব্যাপারী চক্রের হাতে শাহেদ খুন হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে। (খবর সংবাদদাতার)