ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে গায়ে কোরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে রোকসানা বেগম (১৮)। সে উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের সুরিকোনা গ্রামের দিন মজুর শহিদ মিয়ার মেয়ে। সোমবার দুপুরে মা ময়না বিবি খাবারের চাল আনতে অন্যের বাড়িতে চলে যাওয়ার সুযোগে কোরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় রোকসানা। স্থানীয়রা তাকে আগুনে জ্বলতে দেখে উদ্ধার করে নৌকা যোগে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে লাশের দাফন কাজের জন্য নিহতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী অধ্যুষিত ওসমানীনগর উপজেলার একটি অবহেলিত গ্রাম হচ্ছে সাদীপুর ইউনিয়নের সুরিকোনা। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই পেশায় দিন মজুর। সম্প্রতিককালে র্দীঘ এক মাসের স্থায়ী বন্যায় এ গ্রামের সকল মানুষই পানিবন্দি অবস্থায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা দিন মজুর শহিদ মিয়া পানিবন্দি অবস্থায় থেকে গত মাস দেড়েক থেকে পরিবার লোকজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন। সোমবার দুপুরে শহিদ মিয়া কাজের সন্ধানে বেড়িয়ে পরেন। তাঁর স্ত্রী ময়না বিবি চাল আনতে গ্রামের অন্য এক বাড়িতে চলে যান। সেই সুযোগে মেয়ে রোকসানা গায়ে কোরোসিন ঢেলে শরিলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে নৌকাযোগে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ উল্যা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের পরিবারসহ স্থানীয়দের বর্ননামতে ওই পরিবারটি হতদরিদ্র থাকায় বর্তমার্নে পানি বন্দি অবস্থায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছিল। না খেয়ে থাকার ক্ষোভে মেয়েটি নিজেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। তাৎক্ষণিক সিলেটের পুলিশ সুপার’র পক্ষ থেকে নিহতের পরিবার কে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এমনটি হয়ে থাকলেও খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।