কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাড়ুয়া নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র আমিনুল ইসলাম ওরফে সামসির আলী (২০) হত্যাকান্ডের একমাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। সোমবার (১০ জুলাই) বিকাল ৪টায় নিহতের লাশ পুন:ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট কালেক্টরেট’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী। কোম্পানীগঞ্জ থানার তদন্ত ( ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ, এসআই পরিতোষ মন্ডল, প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জ্বাক, পাড়ুয়া নোয়াগাঁও ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, নারীঘটিত বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করে লাশ অর্ধ লটকানো অবস্থায় গ্রামের কবরস্থানের একটি গাছের ডালে বেঁধে রাখা হয়েছিল। নিহতের পিতা আব্দুল মালিক সাংবাদিকদের জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আলতাফ হোসেন হত্যা মামলা নেয়ার কথা বলে সাদা কাগজে দস্তখত নিয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছিলেন। থানা পুলিশের এ মামলা চ্যালেঞ্জ করে নিহতের স্বজনরা সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি নালিশী হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশে ঘটনার ১২দিন পর গত ২২ জুন কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা নং-২৪(৬)১৭ রুজু করা হয়। পাশাপাশি নিহতের পুণঃময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন আদালত। লাশ উত্তোলন করে পুণরায় সুরতহাল রিপোর্ট করে আবার ময়না তদন্ত করা হবে এবং পুনরায় দাফন করা হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য পুনরায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন লাশের গায়ে হাড় পাওয়া যায় মাংস গলে গিয়ে আশপাশে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। লাশ উত্তোলনের পর এলাকাবাসী হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। উল্লেখ্য, গত ১০ জুন রমযান মাসে গ্রামের কবরস্থানের একটি ডালের সাথে তার লাশ পাওয়া গিয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি