জগন্নাথপুরে কুকুর, শিয়াল, বানর ও বিড়ালের কামড়ে শিশুসহ আহত ৩০

3

মো. শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর থেকে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সর্বত্র পাগলা কুকুর ও শিয়াল আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটে কুকুর ও শিয়ালের ভয়ে মানুষজন লাঠিসোটা হাতে নিয়ে চলাচল করছেন বলে ভ‚ক্তভোগীদের মধ্যে অনেকে জানান। অনেক স্থানে বসতঘরে গিয়েও কামড়াচ্ছে কুকুর ও শিয়ালের দল। এর মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে কুকুর, শিয়াল, বানর ও বিড়ালের কামড়ে নারী-পুরুষ, বয়োবৃদ্ধ ও অবুঝ শিশু সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ জন জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন। তবে বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন বলে স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে জানান।
কুকুর, শিয়াল, বানর ও বিড়ালের কামড়ে আহতরা হলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার টিআর গাঁও গ্রামের আতউর রহমান (৩০), বিলাল হোসেন (৪৫), দোস্তপুর গ্রামের কুতুব উদ্দিন (৬৫), নাইম হাসান (১৯), সাজ্জাদ মিয়া (৫০), নুর ইসলাম (৮০), আবুল কাশেম (৪০), কুবাজপুর গ্রামের জাবেদ মিয়া (৩০), ফরাজ মিয়া (৫০), পাবেল মিয়া (২৩), নাইম মিয়া (২০), আসিদুর রহমান (৫০), মোজাম্মেল হক (২২), মুকাদ্দুছ মিয়া (২৩), লেচু মিয়া (৪৫), আজাদ মিয়া (৪৪), উজ্জল মিয়া (১৯), আলী হোসেন (৪০), কাঞ্চন মিয়া (২৫), তারেক রহমান (১৮), সাইদ মিয়া (১৭), জামালপুর গ্রামের মিনার আলী (১৪), আছিমপুর গ্রামের রহিমা বেগম (৬৫), হাসপাতাল পয়েন্ট এলাকার কামরুল ইসলাম (৩২), পূর্ব ভবানীপুর গ্রামের মোজাহিদ মিয়া (১৮) ও নোয়াগাঁও গ্রামের মাত্র ১৩ মাস বয়সী অবুঝ শিশু আকছা বেগম। এর মধ্যে কুকুরের কামড়ে ২৪, বানরের কামড়ে ১, বিড়ালের কামড়ে ১ ও বাকিরা শিয়ালের কামড়ে আহত হন।
এ ব্যাপারে ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মধু সুধন ধর জানান, গত ৪ দিনে কুকুর সহ বিভিন্ন পশুর কামড়ে আহত ২৬ জন রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সরকারি বরাদ্দের কোন ভ্যাকসিন আমাদের কাছে নেই। তবে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত ভ্যাকসিন একেবারে অস্বচ্ছল রোগীদের বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।