হকারদের পক্ষ নিয়ে কথিত শ্রমিকলীগ নেতার মাঠে নামা নিয়ে নানা প্রশ্ন ও রহস্য! একদিকে চলছে অভিযান অন্যদিকে বসছে হকাররা

23

সোয়েব বাসিত :
নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে একদিকে সিটি কর্পোরেশনের অভিযান চললেও অন্যদিকে হকাররাও বসছে। sylhet_71600_1অভিযান পরিচালনাকারী সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও পুলিশের তাড়া খেয়ে তাৎক্ষণিক স্থান ত্যাগ করলেও কিছুক্ষণের মধ্যে সেই স্থান আবারও দখল করছে হকাররা। যেকারণে এখনও পুরোপুরি হকারমুক্ত করা যায়নি নগরীর ফুটপাত। বিশেষ করে জেলা পরিষদের সামনের ফুটপাত দখল করে বসার চেষ্টা করছে হকাররা। কারণ এদিকে পুলিশের অভিযান তুলনামূলক কম। এছাড়া অভারব্রীজের নিচে কোর্ট পয়েন্ট এলাকাকে ঘিরে পুরো ফুটপাত এখনও দখলে রয়েছে হকারদের। তারা পুলিশের সামনেই পসরা সাজিয়ে দিব্যি ব্যবসা করছে অথচ পুলিশও কিছু বলছে না। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে পুলিশ আগের মতোই এদের কাছ থেকে দৈনিক হারে টাকা আদায় করছে। যে কারণে পুলিশকেও তারা তেমন একটা পাত্তা দিচ্ছে না। দিনের বেলা ফুটপাত দখলের এমন চিত্র দেখা গেলেও রাতের বেলা এ চিত্র আরো ভয়াবহ। সন্ধ্যার সাথে সাথে জেলা পরিষদের সম্মুখ থেকে শুরু করে পোস্ট অফিসের সম্মুখ পর্যন্ত, কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু করে জিন্দাবাজার গার্লস হাই স্কুলের সম্মুখ পর্যন্ত, জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে মহিলা কলেজের সম্মুখ পর্যন্ত, চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে আম্বরখানা পয়েন্ট পর্যন্ত এবং বন্দরবাজার দুর্গাকুমার স্কুলের সম্মুখ থেকে ধোপাদীঘিরপার পয়েন্ট পর্যন্তপুরো ফুটপাতই সেই আগের চেহারায় ফিরে যাচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে বন্দরবাজার ও কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে অবৈধ ষ্ট্যান্ড সাময়িক সময়ের জন্য সরে গেলেও এখন আবার সেই আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কথিত এক শ্রমিকলীগ নেতার (যিনি কোন মিল-কারখানার শ্রমিক যা কারও জানা নেই নামের আগে আবার প্রকৌশলী ব্যবহার করেন)। নেতৃত্বে নগরীর ফুটপাতে বসার দাবী জানিয়ে হকারদের ঐ অংশটি মিছিল করে। ওই মিছিলের পরই হকারদের একটি অংশ পুনরায় ফুটপাত দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা সরকারী দলের লেবাস গায়ে জড়িয়ে অবৈধভাবে আবারও ফুটপাত দখল করে এখান থেকে প্রতিদিন আগের মতই লাখ লাখ টাকা নিজেদের পকেটে পুরতে চায়। কারণ ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ায় তাদের অবৈধ আয় বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কথিত ওই শ্রমিকলীগ নেতা। এর আগেও ফুটপাত দখল করতে হকারদের পক্ষ নিয়ে মাঠ গরম করেছিলেন। অনেকেরই ধারণা ওই নেতা ফুটপাত থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নানা কৌশলে নিজের পকেটে পুরেন যেকারণে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু হলেই তিনি মাঠে নেমে পড়েন। অথচ সরকারী দলের শ্রমিক সংগঠনসহ সহযোগী অন্য সংগঠনের অন্য কোন নেতাকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত মাঠে দেখা যায়নি। এবার আদালতের নির্দেশনার আলোকে ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান শুরু হলো অথচ আদালতের নির্দেশনাকে অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে কথিত ওই শ্রমিকলীগ নেতা পুনরায় ফুটপাত দখল করতে মিছিল সমাবেশের মাধ্যমে যেভাবে মাঠে নেমেছেন তাতে করে অনেক প্রশ্ন ও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।