স্টাফ রিপোর্টার :
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নীতিমালা না মেনে নতুন ২৫ টি পদ যুক্ত করে কমকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নিয়োগ,প্রমোশন, আপগ্রেডেশন নীতিমালা প্রস্তাবকে পুনর্বিবেচনায় পাঠিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। যার ফলে কার্যত নিজ শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম ওরফে হুমায়ুন কবীরকে এ মুহুর্তে পদোন্নতি দিতে পারেনি শাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূঁইয়া।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি দৈনিকে ‘শাবি উপাচার্যের শ্যালককে পদোন্নতি দেয়ার পাঁয়তারা’ শীর্ষক খবর প্রকাশিত হয়। এতে নিয়মবর্হিভূত নীতিমালা লঙ্ঘন করে শুধুমাত্র আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ মেয়াদে এসে নতুন পদ সৃষ্টি করে এ পদোন্নতি দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন শাবি ভিসি এ ধরনের অভিযোগ তুলে ধরা হয়। খবরটি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবারের বিশেষ সিন্ডিকেটে নতুন পদগুলোর অনুমোদন না দিয়ে অর্গানোগ্রাম কমিটি গঠন করে পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেয় সিন্ডিকেট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য।
এ সিন্ডিকেটের এজেন্ডা ছিলো কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালা হালনাগাদ করা। তবে নতুন পদ সৃষ্টি করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় অর্গানোগ্রাম কমিটির সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি)’র অনুমোদনের তোয়াক্কা না করেই নতুন পদের নীতিমালার জন্য বিশেষ সিন্ডিকেট ডাকা হয়েছিলো। এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হলে সিন্ডিকেট সেটাকে অনুমোদন না দিয়ে পুনরায় বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসকে প্রধান করে একটি অর্গানোগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের পরিচালক মোল্ল¬া আকবরকে সদস্য সচিব করে গঠিত এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি স্কুলের ডীন ও দুইজন সিন্ডিকেট সদস্য। এ কমিটি নতুন ২৫টি পদের প্রস্তাবনাকে পুনর্বিবেচনা করে দেখবে এবং ইউজিসির অনুমোদন সাপেক্ষে সে অনুযায়ী রিপোর্ট জমা দিবে।
উল্লে¬খ্য, গত ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শ্যালক হুমায়ুন কবীরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা (অতিথি ভবনের সুপারিনটেনডেন্ট) পদে নিয়োগ দেন শাবি ভিসি। তার জন্ম তারিখ ৪ জুলাই ১৯৮২। ওই সময় তার বয়স ৩০ বছরের বেশি হওয়ায় সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৩০ বছর উল্লে¬খ করে একটি স্থানীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এছাড়া এই নিয়োগে ইউজিসি-এর পূর্বানুমোদন নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।