জামালগঞ্জে ভীমখালী ইউনিয়নে কর্মসংস্থান কর্মসূচি ও টিআর কাবিটা কাজের ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম

66

জামালগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের কর্মসংস্থান কর্মসূচি ও টিআর কাবিটা কাজের ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ দাখিল করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রসুন কুমার চক্রবর্তীর নিকট।  অতিদরিদ্রের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি টিআর কাবিটা সহ অন্যান্যে সরকারী বরাদ্দের টাকা যথাযথ কাজ না করে আবার কোন কোন প্রকল্পে আংশিক কাজ করে ভোয়া মাষ্টাররোল দাখিল করে সিনডিকেটের মাধ্যমে সিংহভাগ বরাদ্দের টাকা প্রকল্প চেয়ারম্যানগণ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ওয়ার্ড, এলাকার জনগণ জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। গত ২৯ জুন ভীমখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার এতরাজ আলীর বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক ৩ টি অভিযোগ করেন যথাক্রমে হারারকান্দি গ্রামের পারুল মিয়া সহ ৫২ জন এবং নেকবর মড়ল, ও আবুল আখের। ২ জুলাই ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল লেইছের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেন পূর্ব রাজাবাজ গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ। ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ভীমখালী ইউপি আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, অত্র ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বারগণ ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাথে যোগসাযোশ করে অতিদরিদ্রের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যাপক অনিয়ম  দুর্নীতি করে লোক দেখানো নাম মাত্র কাজ করে সিংহভাগ টাকা উত্তোরন করে নিয়েছেন। এছাড়াও টিআর কাবিটা ভিজিডি, ভিজিএফ এল জি এস পি সহ আরো প্রকল্পের নাম দিয়ে সরকারী বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে সংশ্লিষ্টরা টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে অভিযোদগ করেছেন এলাকাবাসী। এসব অভিযোগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলো ইউপি সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, পানি আসার জন্য কাজ করতে পারি নাই,পরবর্তীতে কাজ করব। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো: দুলাল মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আপনাদের সাথে সরাসরি আলাপ করব, কিছু ত্র“টি আছে এগুলা সংশোধন করে নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহদাৎ হোসেন ভূঁইয়া জানান, টিআর কাবিখার কাজের ব্যাপরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কর্মসংস্থান কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা এখনও ছার দেওয়া হয় নাই কাজ সরজমিন পরিদর্শন করে দেখার পর দেওয়া হবে। অভিযোগের কথা উল্লেখ্য করে জানতে চাইলে উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা প্রসুন কুমার চক্রবর্তী বলেন, টিআর কাবিটা ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কর্মসংস্থান কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা কাজ দেখে দেওয়া হবে।