গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে পাহাড় ও টিলার পাদদেশে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকি আরো বেড়ে গেছে। যেকোন সময় টিলা ধসে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। ফলে টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে আমুড়া, বাঘা, লক্ষণাবন্দ ও ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন অনেকটা টিলা ও পাহাড় বেষ্টিত। এরমধ্যে আমুড়া ও ঢাকাদক্ষিণ এলাকার চারিদিকে শুধু টিলা আর পাহাড়। এসব টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। দীর্ঘদিন থেকে তারা এভাবে ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে আসলেও তাদের প্রতি কোনো খেয়াল নেই কর্তৃপক্ষের। সম্প্রতি টিলা ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এ উপজেলায়। গত ঈদের আগে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের দেওপাড়া এলাকায় টিলা ধসে মারাত্মক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ করে স্থানীয় আবদুল হেকিমের পাকা-ঘরের ওপর টিলা ধসে পড়ার কারণে পাকা ঘর মাটির সঙ্গে মিশে গিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পায় ওই পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে লক্ষণাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নছিরুল হক শাহিন জানান, ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ইউএনও’কে অবগত করেছেন। তবে তারা কোনো ক্ষতিপূরণ এখনো পায়নি। জানা যায়, ঈদের দুইদিন আগ থেকে উপজেলা জুড়ে শুরু হয় বৃষ্টি। অব্যাহত এ বৃষ্টির ফলে বাড়ি-ঘরে ঢুকে পড়ে পানি। এলাকাবাসী জানান, বৃষ্টির ফলে নরম হয়ে যেকোন সময় টিলা ও পাহাড় ধসে পড়তে পারে। এদিকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে টিলা ও পাড়াড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রবিবার এ আহবান জানিয়ে উপজেলা সদর ও এর আশপাশ এলাকায় এ মাইকিং করা হয়। এতে উপজেলায় টিলা ও পাহাড়ের নীচে বসবাসকারী লোকজন দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়। এ বিষয় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতা নেয়ার আহবান জানানো হয়। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন জানান, উপজেলায় প্রায় ৩০/৪০টি পরিবার টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। তাদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করানো হচ্ছে।