মৌলভীবাজারের তিন উপজেলার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা পাওয়ার টিলার

22

কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী তিন উপজেলার জনসাধারণের এখন একমাত্র ভরসা ট্রাক্টর, পিকআপ আর পাওয়ার টিলার। ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে ঈদের ১ সপ্তাহ আগে থেকে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠা শুরু হয়। এ সড়কের জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্সের সম্মুখ, চৌমুহনী, উত্তর জাঙ্গীরাই, বাছিরপুর, পশ্চিম হাতলিয়াসহ সড়কের ১০স্পট তলিয়ে যায় পানির নিচে। ঝুঁকি নিয়ে বৃহস্পতিবার কিছু বাস-মিনিবাস চলাচল করলেও রাস্তায় পানি বৃদ্ধি ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এতে কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন। বিশেষ করে শ্রমজীবী, ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবীরা পড়েছেন মহা বিপাকে। জরুরী কাজে যাতায়াতকারীরা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক্টর, পিকআপ আর পাওয়ার টিলারে চলাচল করছেন। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগও রাস্তার মেরামত কাজ করতে পারছে না।
সরেজমিনে সিএন্ডবি সড়কের বড়লেখার উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের পশ্চিম হাতলিয়া, জুড়ী উপজেলার উত্তর জাঙ্গীরাই ও বাছিরপুর এলাকার রাস্তায় দুরদুরান্তের পথচারীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। বাস সার্ভিস বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার আর পিকআপ ভ্যানে নিমজ্জিত এলাকা পাড়ি দিচ্ছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, ঈদের আগের দিন তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় ইট ও বালু ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু এরপরই ভারী বৃষ্টিপাতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে রাস্তা মেরামতের কাজ অসম্ভব হয়ে পড়ে। পানির উপর দিয়ে কিছু গাড়ি চলাচল করায় গর্তগুলো মারাত্মক গভীর হয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া রাস্তা প্রতিদিন মনিটরিং করা হচ্ছে। শুক্রবার সওজের সেকশন অফিসার আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুনরায় ইট ও বালুর বস্তা ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শনিবার বালুর বস্তা ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।