স্টাফ রিপোর্টার :
সময়ের সাথে সাথে বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ। বন্যা আক্রান্ত এলাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ সবাই। সড়কগুলো ডুবে যাওয়ায় অনেকটা গৃহবন্দী দিন কাটাচ্ছেন এই এলাকার মানুষ। হাজার হাজার পানিবন্দী মানুষের এলাকায় নেই পর্যাপ্ত সরকারী ত্রাণ সাহায্য।
গত বৃহস্পতিবার (২৯শে জুন) উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্ল¬াবিত হয়েছে। তার মধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জ জেনারেল ওসমানী সড়ক পয়েন্টে ও রাজনপুর জামে মসজিদের সামনে পানি উঠায় বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। রাজনপুর জামে মসজিদের সামনে প্রায় কোমর সমান পানি থাকায় বন্ধ রয়েছে মাইজগাও, ভাটেরা সড়ক যোগাযোগ। বিপাকে পড়ছেন গাড়ি চালক ও যাত্রীরা। সিএনজি অটোরিক্সা চালক মনাই মিয়া বলেন, ঘিলাছড়া যেতে চাইছিলাম কিন্তু ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিকল হয়ে পড়েছে। এদিকে গাড়ি আসছে না তাই টেনেও নিতে পারছি না। মাসের ইনকাম মনে হয় ইঞ্জিন খেয়ে ফেলবে। অন্য দিকে নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে কুশিয়ারা নদীর উত্তরপাড় চানপুর, মানিককোনার, মলি¬কপুর সড়ক। ক্রমাগত পানি বৃদ্ধির কারণে এ সড়কটি ডুবার উপক্রম হয়েছে। মলি¬কপুর গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে বালু সুড়কির বস্তা দিয়ে প্রতিরোধ চেষ্টা করলেও কুশিয়ারা নদীর প্রবল স্রোতে টেকসই হচ্ছে না। গ্রামবাসী বলেন, দ্রুত মজবুত প্রতিরোধ করা না গেলে উত্তর জনপদের অধিকাংশই মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। সরকারী সাহায্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। ত্রাণ স্বল্পতা স্বীকার করে ফেঞ্চুগঞ্জ ১ নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মুরাদ বলেন, ঈদের আগে দুই টন গম এসেছিল। তা পর্যাপ্ত নয়। আমরা লিখিত ভাবে জানিয়েছে দেখি কি হয়।