নবীগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের তিন দিনের মাথায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সোহান আহমেদ (২৫) নামে বিদেশ ফেরত এক যুবক খুন হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পাশের উমরপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নুরকাছ ও তার লোকজনের সঙ্গে সোহানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা ছুরি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করলে সোহান দৌঁড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা সোহানকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সোহান আহমেদের মৃত্যু হয়। সোহান সৌদি আরব প্রবাসী ছিলেন। এক মাস আগে দেশে ফিরেন ও মারা যাওয়ার তিনদিন আগে বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় সোহানের চাচাতো দুই ভাই সৌদি আরব প্রবাসী নূর আলমের ছেলে মোসাদ্দেক আলম (২৪), আবু সায়েদের ছেলে শহীদুল্লা (২৫) ও দিঘীরপার কোনার বাড়ি গ্রামের আজির মিয়া (৪৫) আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাটি নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ বাজারে হলেও স্থানটি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার অভ্যন্তরে হওয়ায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন জানান, ইনাতগঞ্জ বাজারে সোহান আহমেদ ও তার লোকজনের সঙ্গে প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় তাকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীগঞ্জে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে বিদেশ ফেরত যুবক খুন
শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে : জিকে গউছ
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে। এখনও ফ্যাসিবাদীর দোসররা বিভিন্নভাবে দেশে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের আমলে বাংলাদেশের হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী বিনা অপরাধে আদালতের ফরমায়েসী রায়ে মাসের পর মাস জেল খেটেছেন। কারাগারের ফাঁসির সেলে আমাকে ৮ মাস কাটাতে হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গউছ বলেন, মিথ্য অভিযোগে কিববরিয়া হত্যা মামলায় আমাকে কারাভোগ করতে হয়েছে। অথচ তখন আমি সৌদি আরবে ওমরা হজ্বে ছিলাম।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মনিরুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক, চুনারুঘাটের সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন শামসু ও পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব হোসাইন আলী রাজন। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মীর সিরাজ আলী।
সিকৃবির অচলাবস্থার অবসান
সিকৃবি সংবাদদাতা
রেজিস্ট্রার, গণসংযোগ কর্মকর্তা ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন মঙ্গলবার বিকেলে স্থগিত হয়েছে। প্রক্টরকে সাময়িক বরখাস্ত করায় ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর থেকে তৃতীয় দিনের মতো উত্তপ্ত হয়ে উঠে সিকৃবি। প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে ভিসিসহ অন্ততঃ অর্ধশত শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হয় এবং এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হককে সাময়িক বরখাস্ত করায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
জানা যায়, নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের টানানো ব্যানার গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্যানাল ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কিছু বহিরাগত এসে যোগ দেয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
এদিকে, সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রবিবার থেকে ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা দেন। শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবির মধ্যে ছিল- রেজিস্ট্রার, গণসংযোগ কর্মকর্তা ও প্রক্টরিয়ার বডির পদত্যাগ। টানা ৩ দিন আন্দোলন শেষে মঙ্গলবার বিকেলে প্রক্টরের সাময়িক বরখাস্তের মধ্যদিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলিমুল ইসলাম বলেন- শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী প্রক্টর ড. মোজাম্মেল হককে সাময়িক বরখাস্ত করায় বৈঠক শেষে তারা আন্দোলন স্থগিত করেছে। আজ বুধবার থেকে যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে। ঘটনার রাতে প্রক্টর দায়িত্ব অবহেলা করেছেন কি না, সেটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে। এছাড়া বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- ড. মোজাম্মেল তার প্রক্টরিয়াল দায়িত্ব পালন না করলেও ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ক্রীড়াঙ্গন সম্পর্কিত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভা
জেলা প্রশাসন সিলেটের আয়োজনে এবং সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ক্রীড়া অফিস, সিলেট এর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নিবন্ধনকৃত সিলেট জেলার ফুটবল একাডেমিসমূহের অংশগ্রহণে ডেভেলপমেন্ট কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৫) ২০২৪-২৫ আয়োজন এবং ক্রীড়াঙ্গন সম্পর্কিত ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা ২৯ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভার প্রারম্ভেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথ্থানে শাহাদত বরণকারী বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও আহত ছাত্র-জনতার দ্রæত আরোগ্য কামনা করা হয়।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। সভায় সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আনোয়ার উজ জামান এবং সিলেট জেলা ক্রীড়া অফিসার ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটির সদস্য-সচিব মোঃ নূর হোসেন শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। সভায় সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিবন্ধিত ক্লাবসমূহের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাফুফে নিবন্ধিত সিলেট জেলার ফুটবল একাডেমিসমূহের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, ক্রীড়া সাংবাদিকবৃন্দ, সিলেট জেলা ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশন এবং সিলেট ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাবৃন্দসহ ক্রীড়াঙ্গন সম্পর্কিত প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতি সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ সিলেট জেলার সকল ডিসিপ্লিনের খেলাধুলা সমূহ সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও আন্তরিকতা কামনা করেন।
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থার বিকল্প নেই -পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, কালো টাকা, পেশীশক্তি ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থার বিকল্প নেই। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে ভোটারদের ভোটের প্রকৃত মুল্যায়ন হয়। তিনি আরও বলেন, যে সকল বিজ্ঞজনেরা বলেন সংবিধান মেনে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা সম্ভব নয়, তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করার সময় কি সংবিধান অনুসরণ করেছিলেন? গণঅভ্যুত্থানে হাজারো ছাত্রদের বুকের উপর গুলি করে যখন হত্যা করা হয়েছিল তখন কি সংবিধান হয়েছিল? আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন করেছিল এখন কেন আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতায় রাখার জন্য সংবিধানের দোহাই দেয়া হচ্ছে। বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন দেয়া মানে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন দেয়া এমনটাই ধরে নেয়া যায়, যার কারণ হলো আওয়ামী লীগের প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। যারা রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতায় রাখতে চান তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি? তারা কি ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগের মতো নিজ দলীয় লোককে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে ফ্যাসিবাদের মত একক শক্তি ব্যবহার করে দেশ চালাবে। তা এদেশের জনগণ কখনোই মেনে নেবে না, ছাত্র জনতার রক্ত বৃথা গেলে দেশ ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। যার কারনে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিভক দলগুলো (পিআর) সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়ে আসছে।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইমা পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা-শায়খুল হাদিস মুফতি রহুল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মুফতি ওমর ফারুক সন্দিপি, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সম্পাদক সিলেট বিভাগ মুফতি মাওলানা মাঈনুদ্দিন খান তানভীর, বামুক সিলেট বিভাগীয় সদর মুফতি মাওলানা রিজওয়ভনুল হক, সিলেট জেলা সহ সভাপতি উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিয়াষদ মাওলা আমির উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস সহ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
পীর সাহেব চরমোনাই ওলামদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের মধ্যে ইসলামী দলগুলো এক হতে যাচ্ছে শুনে অনেকে মাথা ঠিক রাখতে পারছে না। ওলামাগন হলেন নবীদের ওয়ারীস, এই মুহ‚র্তে ইসলাম দেশ ও মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে আলেমদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে সমাজ রাষ্ট্রের নেতৃত্বের প্রয়োজনে নিজেকে প্রস্তুত করে ইকামতে দ্বীনের পথে চলতে হবে। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে সকল আন্দোলন নির্যাতন সহ্য করে সফল হতে হবে ইনশাআল্লাহ।
আ.লীগসহ ১১টি দলকে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম বন্ধের রিট প্রত্যাহার
কাজির বাজার ডেস্ক
আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া ও বিগত তিনটি নির্বাচনের বৈধতা প্রশ্নে দায়েরকৃত রিট পিটিশন না চালানোর কথা জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার রিট দুটি না চালানোর কথা জানান রিট আবেদনকারীদের সিনিয়র এডভোকেট আহসানুল করিম। এরপর আদালত রিট আবেদন দুটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব। একটি রিটে আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে অনুমতি না দিতে অন্তর্র্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। রিট আবেদনে নির্বিচার মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অভিযোগ আনা হয়েছিল দলগুলোর বিরুদ্ধে। এছাড়া, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে অপর একটি রিট করেন তিন রিটকারি। যেখানে বিগত তিন নির্বাচনের গেজেট বাতিল চাওয়া হয়। এছাড়া ওইসব নির্বাচনে এমপিদের সকল সুযোগ সুবিধা বাতিল করে তা প্রত্যাহারের নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সাথে ওই সব নির্বাচনের এমপিদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আনা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন দুটি করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম, আবুল হাসনাত (হাসনাত আবদুল্লাহ) ও হাসিবুল ইসলাম।
এদিকে ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং এই আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত¡া হিসেবে তালিকাভুক্ত করল। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি ২৩ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। এরপরপরই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সরকার। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণী পেশার মানুষ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে ১৫ বছরের অধিক সময় টানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার দাবিতে ডিসি বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান
৫ দিনের মধ্যে বন্ধ থাকা সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী খুলে দেয়া, আটক বারকি নৌকা ফেরত ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন পাথর শ্রমিক বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বৃহত্তর সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী ও বিভিন্ন বালু মহাল থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলের প্রধানতম বারকী পেশায় সম্পৃক্ত দশ লক্ষাধিক মানুষ ও বিশ সহস্রাধিক ব্যবসায়ী আয়-রোজগার হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সিলেটে ভয়াবহ বন্যার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে পাথর কোয়ারী বন্ধ করা। দীর্ঘদিন ধরে পাথর কোয়ারী ও বালু মহাল বন্ধ থাকায় ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং সহ অন্যান্য পাথর মহালগুলোর উৎসমুখ ভরাট হয়ে গেছে। পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের স্রোতে ভেসে আসা পলিমাটি, বালুতে সিলেটের সকল নদ-নদী, খাল বিল, নদীনালা, হাওর ভরাট হয়ে গেছে। ফলে নদ-নদী, খাল বিলের পানির ধারণ ক্ষমতা না থাকায় মানুষের ভিটে বাড়ি তলিয়ে জনজীবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অপরদিকে মাছের বিচরণ বিনষ্ট হয়েছে। রিজার্ভের ডলার সংকট, রিজার্ভের ডলার দিয়ে নি¤œমানের পাথর আমদানী, দেশের হাজার হাজার ব্যবসায়ীদের শত শত কোটি টাকা অবৈধ চোরাই পথে ভারতের ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছে, এদেশের পাথর মহাল বন্ধ থাকায় বিদেশ থেকে আমদানীকৃত বিভিন্ন স্থানে এলসির পাথর চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশের পাথর মহালগুলো উন্মুক্ত থাকলে প্রতিযোগিতার বাজারে কম দামে পাথর পাওয়া যাবে। ৫ দিনের মধ্যে পাথর কোয়ারী খুলে দেয়া, তিন দিনের মধ্যে আটককৃত বারকি নৌকা ফেরত এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে নিরীহ শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানানো হয়। ৫ দিনের মধ্যে পাথর কোয়ারি খুলে দেয়া না হলে ০১ নভেম্বর বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ, ০৩ নভেম্বর সিলেট ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক এবং সিলেট-জাফলং মহাসড়ক অবরোধ।
স্মারকলিপি গ্রহনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে পাথর শ্রমিক বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনায় বসবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পাথর শ্রমিক বাঁচাও আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা, গোয়াইনঘাটের বিশিষ্ট সালিস ব্যক্তিত্ব মো. জুলহাস উদ্দিন শিকদার, আহবায়ক সাংবাদিক আবুল হোসেন, সদস্য সচিব সৈয়দ ফখরুল ইসলাম, সুমন আহমদ, জহিরুল হক, আজমল হোসেন, ইকবাল হোসেন ইমন, বাদল মিয়া প্রমুখ।
চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
কাজির বাজার ডেস্ক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিদেশ যাচ্ছেন। চিকিৎসার উদ্দেশে তার এই বিদেশ যাত্রা। জানা গেছে, প্রথমে খালেদা জিয়া লন্ডনে যাবেন ছেলে তারেক রহমানের কাছে। বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে লন্ডন থেকে তৃতীয় একটি দেশে নিয়ে তাকে কোনো একটি ‘মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে’ ভর্তি করা হবে বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন। দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছর দÐিত হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। দÐ থেকে মুক্ত হওয়ার আড়াই মাস পর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার খবর এলো। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৬ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দÐ মওকুফ করে মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ সংবাদ পান তিনি। মুক্তির পর দিনই ৭ আগস্ট নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। এক মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২১ আগস্ট গুলশানের বাসায় ফিরেন দুর্নীতির দুই মামলার দÐ থেকে মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন। মুক্তি পেলেও অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। যদিও ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন এখনও সুস্থ নন। আগে তিনি বন্দি ছিলেন, এখন মুক্ত। দলের নেতাকর্মীরা স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন, দমন-নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। এজন্য খালেদা জিয়া মানসিকভাবে স্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি ছিল পরিবার ও দলের। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাকে বিদেশ যেতে দেয়নি। অন্তর্র্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর তার বিদেশ যাওয়ার পথ খুলল। ৭৯ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। সবশেষ গত ৮ জুলাই গভীর রাতে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া গ্রহণ শুরু
কাজির বাজার ডেস্ক
অন্তর্র্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচনমুখী প্রক্রিয়া গ্রহণ করার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। সচিবালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ কমিটি গঠন হয়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্বাক্ষরের পর প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, হয়তো ইতোমধ্যে স্বাক্ষর হয়ে থাকতে পারে। না হলে শিগগিরই হয়ে যাবে। সার্চ কমিটি হয়ে গেলে ইসি গঠন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া গ্রহণ শুরু হয়েছে।
সার্চ কমিটি কত সদস্যের হবে, এ প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আইনে যা বলা আছে, তা-ই হবে। তিনি আরও বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন রয়েছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচন ছিল ভুয়া। তাই ভোটার তালিকা নিয়ে তেমন কথা হয়নি। এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা করা হবে। অন্তর্র্বর্তী সরকার একটি সুন্দর নির্বাচন দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এসেছিলেন।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রতি জাতিসংঘ তাদের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছে। ফলকার টুর্ক সরকারের সংস্কার কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি দুটি প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। এক. বিচার বিভাগ স্বাধীন করা। দুই. মৃত্যুদ- রহিত করা।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা এটিকে নীতিগতভাবে গ্রহণ করেছি। ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগ সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে টুর্ক বেশি প্রশ্ন করেছেন। তিনি মৃত্যুদ- রহিত করার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এটা রহিত করার সুযোগ আছে কিনা। আমরা বলেছি, বর্তমান বাস্তবতায় মৃত্যুদ- রহিতের সুযোগ নেই। পেনাল কোডে মৃত্যুদ-ের কথা বলা আছে। হুট করে এটা পরিবর্তনের সুযোগ নেই।’
ড. আসিফ নজরুল বলেন, যে ফ্যাসিস্ট সরকার হাজার হাজার শিক্ষার্থী মেরেছে, তাদের বিচারকে সামনে রেখে মৃত্যুদ- বাতিল করার সুযোগ বিদ্যমান বাস্তবতায় নেই। এটা প্রত্যাশা করার সুযোগ নেই। ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘জাতিসংঘ সারা পৃথিবীতে মৃত্যুদÐ রহিতের কথা বলে। কিন্তু অল্প দেশই তা রদ করেছে। এটা তাদের প্রতিশ্রæতি, তারা সেটা বলবে। মৃত্যুদ- রহিত অতীতের কোনো সরকারও করেনি।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সব ধরনের আইনি অধিকার দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন ড. আসিফ নজরুল। জাতিসংঘ বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করতে তাগিদ দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল বলেন, সরকার চাইলে জাতিসংঘের কাছ থেকে ফরেনসিক বা কারিগরি সহযোগিতা নেবে। সুবিচার করা হবে। কোনো অবিচার হবে না। আগে যেমন অবিচার হয়েছে, এবার তা হবে না।
এরআগে ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফলকার টুর্ক সাংবাদিকদের বলেন, আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার নিয়ে তার কথা হয়েছে। দুটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, এ ক্ষেত্রে মানবাধিকার যেন নিশ্চিত করা হয়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
টুর্ক বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান কমিটি কাজ করছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। আমাদের প্রধান কার্যালয় পুরো বিষয় পর্যবেক্ষণ করছে।’
বন্দরবাজারে হামলার ঘটনা আ.লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপি-মেয়রসহ ২৫৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট-৫ আসনের সাবেক এমপি হুসাম উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ২৫৮ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী নগরীর লালবাজার এলাকার মো. আক্তার আলী তার এজাহারে অভিযাগ উল্লেখ করেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে গত ৪ জুলাই দুপুর ১টার দিকে নগরীর বন্দরবাজারস্থ আবু তুরাব জামে মসজিদের সামনে আসামিরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- দÐবিধির ১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১০৯/১১৪ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট-৫ আসনের সাবেক এমপি হুসাম উদ্দিন চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান (৫৬), সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৫০), সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (৬০), সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহচর ইউসুফ মিয়া (৪৮), যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবির (৫৫), আওয়ামী লীগ নেতা নূর আহমদ ওরফে নূর মুহাম্মদ (২৭), হেদায়েত হোসেন খোকন (৪৫), জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানিম আহমদ (২৪), পারভেজ হোসেন (২৫), আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াকুল ইসলাম (৪০), যুবলীগ নেতা বোরহান আহমদ (৪০), আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান (৪৫), জেলা ছাত্রলীগ নেতা রিফাত আহমদ লিমন (২৮), হাবিবুর রহমান (৪৫), সিফাত আহমদ (২৫), আফতাব মিয়া (৫০), ৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার নাজু (৩৭), আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাবু মিয়া (৫২), রুহেল আহমদ আনছার (৪০), সিহাব বখত (৩৫), সিলেট জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি হেলাল আহমদ চৌধুরী ওরফে কানা হেলাল (৬০), ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ আহমেদ সাহেদ (২৯), আওয়ামী লীগ নেতা নাইম আহমদ চৌধুরী (৪২), ওলামা লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন (৪৫), যুবলীগ নেতা আব্দুল গফুর (৫০), মো. সাইদুর রহমান রাকিব (২৫), সাজ্জাদুর রহমান রাজীব (২৬), কাজল মিয়া (৪৪), ফখরুল ইসলাম ওরফে চুর ফখই (৬০), সাদেক আহমদ চেীধুরী (৩৫), শফিক আহমদ আদনান (৩০), তৌহিদুল ইসলাম (৩৫), মো. জিয়ায়ুল ইসলাম শানুর (৪০), সালিক আহমদ (৩৫), হেলাল মিয়া (৪০), মাহতাব উদ্দিন (৪৫), জাকির হোসেন (৩০), লাল মিয়া (৪৫), তারেক আহমদ (৩২), আব্দুর রহিম (৪০), হানফি আলী, কয়েস মিয়া (৪৫), হাবিবুর রহমান (৪০), রনি মিয়া (৩৮), সুবাস দাস (৪৭), আহবাব হোসেন তপু (৪৮), শামীম আহমদ ওরফে সীমান্তিক শামিম (৫২), জগলু মিয়া তালুকদার (৪০), আব্দুস সালাম (৪২), শফিকা বেগম দিলারা (৪৮), আব্দুল কালাম (৩৬), ইমাম উদ্দিন গনি (৫০), রেজান আহমদ প্রিন্স (৪৫), আহমেদ লিমন ওরফে কুটি মনা (৩৩), সৈয়দ শামীম আহমদ (৪০) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জন।