রক্তাক্ত পালাবদল ঘটার আশঙ্কা মিয়ানমারে

কাজির বাজার ডেস্ক

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে সরাসরি জানিয়ে দেয়া হলো জাতিসঙ্ঘ রিপোর্টে! জাতিসঙ্ঘ বিশেষ দূত জুলি বিশপ মিয়ানমারের পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার কমিটিকে যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতে ক্ষমতার রক্তাক্ত পালাবদল ঘটার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। এই আবহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন এবং কানাডা সরকারের মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘মিয়ানমারে অভ‚তপূর্ব মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এ ক্ষেত্রে সমাধানের একটাই পথ- যুযুধান দু’পক্ষকে অনড় অবস্থান থেকে সরতে হবে।’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই দেশটিতে অশান্তির আবহে সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির পাশাপাশি সংগঠিত অপরাধও বাড়ছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। জুলির দাবি, গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে অস্ত্র উৎপাদন ও ব্যবসা, মানব পাচার, মাদক উৎপাদন ও পাচারের মতো অপরাধ প্রকাশ্যে ঘটে চলেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী- ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। পরবর্তী সময়ে জান্তা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)।
ইতিমধ্যেই মিয়ানমারের ৫০ শতাংশের বেশি অংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর একাংশ জানিয়েছে। বস্তুত, রাজধানী নেপিডো, প্রধান শহর ইয়াঙ্গন এবং আরো কিছু বড় জনপদ-শিল্পাঞ্চলেই এখন জান্তা সমর্থক সেনাবাহিনীর গতিবিধি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে খবর। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে বহু সেনাসদস্যের আন্তসমর্পণ এবং প্রাণ বাঁচাতে ভারত ও বাংলাদেশে পালানোর ঘটনাও ঘটেছে।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জান্তা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’-এর সশস্ত্র বাহিনী পিডিএফ কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা রাখাইন প্রদেশের বেশ কয়েকটি সেনাঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়েছে।

সুনামগঞ্জসহ ১১ জেলায় ৭৫২ সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

কাজির বাজার ডেস্ক

দেশের ১১টি জেলার বিভিন্ন আদালতে ৭৫২ জন আইনজীবীকে সরকারি আইন কর্মকর্তা- সরকারি কৌঁসুলি (জিপি), অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এদের মধ্যে ৬৩ জনকে সুনামগঞ্জ, ৮৩ জনকে কিশোরগঞ্জ, ৬৩ জনকে কক্সবাজার, ২৫ জনকে রাজবাড়ী, ১২৮ জনকে কুমিল্লা, ৩৪ জনকে সাতক্ষীরা, ৯১ জনকে নারায়ণগঞ্জ, ১৪৫ জনকে বরিশাল, ৪৪ জনকে নেত্রকোনা, ৫৬ জনকে নাটোর ও ২০ জনকে পঞ্চগড় জেলার জেলা ও দায়রা জজ ও এর অধীন আদালত, বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ জজ আদালতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ২৪, ২৯ ও ৩০ অক্টোবর তারিখে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর উইং থেকে এ সম্পর্কিত তিনটি নিয়োগাদেশ জারি করা হয়।
উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এসব নিয়োগাদেশে উল্লিখিত ১১ টি জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এদের অধীন আদালত, বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রাইব্যুনাল এবং বিশেষ জজ আদালতে এর আগে নিয়োগ করা সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদেরকে নিজ নিজ পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

জৈন্তাপুরে প্রশাসনের নির্দেশ দরবস্ত বাজার হবে পরিচ্ছন্ন

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি

তামাবিল মহাসড়কের দরবস্ত বাজার এলাকায় (২ নভেম্বর) এর মধ্যে সকল প্রকার অস্থায়ী দোকান, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নোটিশে জানানো হয়, অত্র উপজেলার দরবস্ত বাজার জামে মসজিদের পশ্চিম পাশ্বে ব্রীজের নিকট থেকে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার এর গেইট পর্যন্ত অবৈধভাবে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের পাশে দোকানপাট ও বিভিন্ন ধরনের ভ্রাম্যমাণ দোকান বসার কারণে জনদূর্ভোগ সহ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ জন্য সুষ্ঠুভাবে বাজার পরিচালনা, যানজট নিরসন ও জনদূর্ভোগ নিরসনের লক্ষ্যে এ সকল অবৈধ স্থাপনা অপসারণ একান্ত জরুরী। আগামী (২রা নভেম্বর) এর মধ্যে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে তিনি দরবস্ত যান। এ সময় মহাসড়কের অতি সন্নিকটে ফলমূল, গোসত, পোল্ট্রি সহ নানা পন্যের দোকান অবৈধভাবে বসতে দেখেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন দরবস্ত বাজারে এই সমস্ত অবৈধ স্হাপনার কারণে সিএনজি সহ ইজিবাইক, লেগুনা মহাসড়কে পার্কিং করতে বাধ্য হয়। তাই দরবস্ত বাজার এলাকায় নিয়মিত যানজট লেগেই থাকে।
তাই যানজটের স্হায়ী সমাধান ও জনদূর্ভোগ কমানোর লক্ষ্যে আগামী ২রা নভেম্বরের মধ্যে স্হাপনা সরিয়ে নিতে তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহারকে নোটিশের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যথায় এই নির্দেশনা যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার ও গ্রাহক হয়রানি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করতে ও ডিজিটাল মিটারের পরিবর্তে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে প্রি-পেইড মিটার বিরোধী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাইস্থ বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা গ্রাহকদের সেবা না দিয়ে উল্টো লুটপাট শুরু করেছে। অযৌক্তিক বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। আগে যেখানে এক মাসে ১ হাজার টাকা বিল আসতো, বর্তমানে প্রি-পেইড মিটারে এখন বিল আসছে ১৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ অযৌক্তিক বিদ্যুতের বিল আসার ব্যপারে বার বার বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সমাধান পাচ্ছেনা গ্রাহকরা।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে প্রি-পেইড মিটারে আগের মিটারের চেয়ে প্রায় আড়াইগুণ বেশি বিল নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মিটার ভাড়া আগের চেয়েও চারগুণ। বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ থাকলেও মিটার থেকে টাকা কাটা হয়। তাছাড়া একাধিকবার কার্ড ক্রয়ের ঝামেলা পোহাতে হয় এবং হঠাৎ মিটার লক হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
অবিলম্বে এই অযৌক্তিক প্রি পেইড মিটার ও গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
কামরুল হাসান শাহীন এর সভাপতিত্বে ও আনোয়ার হোসেন এর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী নুরুল ইসলাম, মাহতাব উদ্দিন, সাদিকুর রহমান সাদিক, মনা মিয়া, ইছন মিয়া, আফতাব আহমদ, আলী আহমদ ইদন, অনিল চন্দ্র দাস, সালেহ আহমদ, আব্দুল্লাহ শফী স্যায়িদ শাহেদ, শাহেদ আহমদ, বদরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান জুয়েল, জুবের আহমদ, সাইদুর রহমান আলেখ, বুলবুল মিয়া, জুনু মিয়া, মখলিছুর রহমান, রায়হান উদ্দিন রাজু, রুহেল উদ্দিন, টিপু, নাছির, সুজন, দেলওয়ার হোসেন, মনু মিয়া, জসিম মিয়া, কামাল আহমদ, দুলাল আহমদ, আমির হোসেন হাজারী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

সাফজয়ী দলকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোটি টাকা পুরস্কার

কাজির বাজার ডেস্ক

উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দেশে ফেরা বাংলাদেশ দলকে বড় অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বাফুফে ভবনে দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে এক কোটি টাকার পুরস্কারের চেক তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভ‚ঁইয়া।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দেশে ফেরার পর তাদের সংবর্ধনা দিতে আমি বাফুফেতে এসেছি। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় নারী ফুটবল দলের সঙ্গে দেখা করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। আগামী শনিবার সকালে তিনি তার বাসভবনে নারী ফুটবল দলকে দাওয়াত দিয়েছেন। জাতিকে সুন্দর এই বিজয় উপহার দেয়ার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ১ কোটি টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।’ আসিফ আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ যেভাবে তাদেরকে বরণ করেছে, এ জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে কিছু অভিযোগ আছে, বেতন বৈষম্য। এ বিষয়ে বিসিবি ও বাফুফের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রæতই সমাধান করব। বাংলাদেশের নারীরা যেভাবে আন্তর্জাতিক ট্রফি ছিনিয়ে এনেছে, আরও ট্রফি ছিনিয়ে আনতে পারবে বলে আশাবাদী।’

নগরীতে চরম পর্যায়ের বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনভোগান্তি

 

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেট নগরী ও আশপাশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। গত দু’দিন ধরে হঠাৎ করে চরম পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
দিনে অন্তত ৫ থেকে ৬ বার চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। কখনো ১০-১৫ মিনিট আবার কখনো ঘন্টা পর ঘন্টা পার হয়ে যাচ্ছে। তুলনামূলক গরম কমে যাওয়ায় সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও কমেছে বিদ্যুতের চাহিদা। ফলে সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক। এরপরও বার বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে একদিকে ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহক, অপরদিকে বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে নষ্ট হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলছেন, সাধারণত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া শুকনো সিজনে বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকে না বললেই চলে। গত ৫ আগস্টের পর অর্ন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি দেখা দিলেও পরবর্তীতে সে সমস্যা সমাধান হয়। মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
এদিকে, গত দু’তিন দিন ধরে সিলেটে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে জনজীবন। বিশেষ করে দিনভর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, তালতলা, শেখঘাট, জেলরোড, বারুতখানা, শিবগঞ্জ, নয়াসড়কসহ নগরীর বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং হওয়ায় গ্রাহকরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিউবো সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানান, ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে গোলযোগ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে, দু’একদিনের মধ্যেই তা সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষ : গুলিবিদ্ধ ২

কাজির বাজার ডেস্ক

রাজধানীর মিরপুর-১৪ ও কাফরুল এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। গুলিবিদ্ধ দুইজন হলেনÑআল আমিন হোসেন (১৭) ও ঝুমা আক্তার (১৫)। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা দুজনই পোশাক কারাখানা সেন্টেক্স ফ্যাশনস লিমিটেডের কর্মী। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, ঝুমা আক্তারের ডান পায়ে ও আল আমিনের পিঠে গুলি লেগেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসেন। এর পরপরই আশেপাশের কারখানার শ্রমিকরাও বিক্ষোভ শুরু করেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সেন্টেক্স ফ্যাশনস লিমিটেডের আরেক শ্রমিক কবির হোসেন জানান, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি ছোড়ে। আল আমিন জানান, বাড়ি ফেরার সময় মিরপুর-১৪ এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
ঝুমার বড় বোন মর্জিনা বেগম জানান, তার বোনের পায়ে গুলি লেগেছে।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম মোস্তফা জানান, সংঘর্ষের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ভাঙচুরের পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যে কারণে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার উদ্যোগ নেয় পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তারা।

হবিগঞ্জে ইসলামপন্থি দুই পক্ষের সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা ১৪৪ ধারা জারি

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সুন্নী ওলামা পরিষদ এবং খেলাফত মজলিশ, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন ২ নভেম্বর মাধবপুর স্টেডিয়ামে ও পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ ডেকেছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং জানমালের ক্ষতির আশংকা রয়েছে। যে কোনো সময় বাধতে পারে সংঘর্ষ। এ অবস্থায় সমাবেশের আগের দিন, অর্থাৎ ১ নভেম্বর ভোর থেকে ৩ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত ওই দুই স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এই আদেশ জারি করেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা এবং সুন্নী আলেমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মাধবপুর, নাসিরনগর ও বিজয়নগরের সুন্নী সমর্থিত লোকদের নিয়ে ২ নভেম্বর মাধবপুর ষ্টেডিয়াম মাঠে গণসমাবেশের ডাক দেন পীর সৈয়দ জুবায়ের কামাল ও তৌহিদী জনতা।
একই দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে নিহত সব শহীদের জন্য দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন মাধবপুর খেলাফত মজলিশ, জামায়াত ইসলাম, উলামা পরিষদসহ কয়েকটি সমমনা ইসলামী দল। একই দিনে দুটো সমাবেশ ঘিরে মাধবপুরে আলেম ওলামাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
মাধবপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম ফয়সাল জানান, একই দিনে দুই সংগঠনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, জানমালের ক্ষতি এবং শান্তিশৃঙ্খলা বিঘিœত হতে পারে। তাই, ১ নভেম্বর ভোর থেকে ৩ নভেম্বর ভোর পর্যন্ত মাধবপুর উপজেলা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার

হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামাপূজা (কালীপূজা) ও দীপাবলি উৎসব বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
হিন্দু পূরাণ মতে- কালী দেবী দূর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে- শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কালী পূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী।
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মন্ডপে মৃন্মময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী- কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, শ্যামাপূজা উপলক্ষে সিলেটের সর্বত্র মন্দিরে ও বিভিন্ন মন্দির প্রাঙ্গণে মÐপ আলোকসজ্জায় সাজানো হয়। সিলেট নগরীর বিভিন্ন মন্ডপ ও বিভিন্ন মন্দিরে এ কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর কালীঘাটে স্থায়ী পূজামÐপে এ কালীপূজারও আয়োজন করা হয়েছে।
শাস্ত্র মতে, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মাধ্যমে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামা বা কালীর। শ্যামা দেবী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক।

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ

কাজির বাজার ডেস্ক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের চ‚ড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ হাজার ৫৩১ জন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। গত ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। এ প্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
তবে এই নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। অনুসন্ধান করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়। তবে তদন্ত কমিটি প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পায়নি বলে জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০২৩ সালের ১৪ জুন এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এই দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল পরদিন প্রকাশ করা হয়।