প্রায় ৬৪ লক্ষাধিক টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)’র অভিযানে প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করেছে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)। বৃহস্পতি ও শুক্রবার সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
চোরাই পণ্যের মধ্যে রয়েছে -ভারতীয় নিভিয়া ক্রিম, অলিভ অয়েল, সাবান, কম্বল, সার, রসুন, বিড়ি, প্রাইভেটকার, মোটর সাইকেল, ট্রলি গাড়ী, মদ, ফেন্সিডিল, এবং অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী নৌকাসহ অন্যান্য ভারতীয় পণ্য। যার আনুমানিক মূল্য-৬৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৫০ টাকা। সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ হাফিজুর রহমান, পিএসসি বলেন, উর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি’র আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালানী পণ্য জব্দ করা হয়। আটককৃত চোরাচালানী মালামাল সমূহের বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে বিজিবি।

 

আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বসবাস যোগ্য দেশ গঠনে সবাইকে কাজ করতে হবে -মো. সাজেদুল করিম

 

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. সাজেদুল করিম বলেছেন, আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে আর্ত মানবতার সেবায় সবাইকে নিয়োজিত থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, কঠিন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি। এই বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা অসহায়দের পাশাপাশি আমাদেরও পরীক্ষা নিচ্ছেন। তাদের ব্যাপারে আমরা কী পদক্ষেপ নিচ্ছি তা দেখছেন। এই পরীক্ষায় পাস করতে হলে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এক্ষেত্রে দরিদ্র আত্মীয়-স্বজন, দরিদ্র প্রতিবেশী, এতিম-মিসকিনসহ প্রত্যেক নিঃস্ব ও অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। এতেই নীহিত রয়েছে মহান আল্লাহর দয়া। তিনি নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বসবাস যোগ্য দেশ গঠনে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান।
শুক্রবার বেলা ২টায় সরকার অনুমোদিত আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত মানবিক সংগঠন সিলেট সোসাইটি ও স্টুডেন্ট ইউনিট এর দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সিলেট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল করিম শিকদার এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদ কবির এর যৌথ পরিচালনায় কাউন্সিলের উদ্বোধনী বক্তব্যে ভাষা সৈনিক, সিলেট সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাসউদ খাঁন বলেন, সিলেট সোসাইটি ১৬ বছর থেকে ছিন্নমূল মানুষের কল্যানে কাজ করছে, বিশেষ করে ৪ বছর থেকে সিলেট নগরীর লালদিঘীরপাড়ে ১০ টাকায় অন্ন ‘সিলেট সোসাইটি মেহমানখানায়’ ভবঘুরে, ছিন্নমূল ও ভিক্ষুকদের দুপুরের খাবার খাওয়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ সহ বিভিন্ন মানবিক কর্মকান্ডে সিলেট সোসাইটি ও স্টুডেন্ট ইউনিটির সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেট সোসাইটির তহবিলে সহযোগীতার পাশাপাশি, সবাইকে মানুষের কল্যানে কাজ করার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, সিলেট সোসাইটির উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, ডা. সিরাজুল ইসলাম খান, মনোয়ারা খানম, ড. তুতিউর রহমান, সোসাইটির উপদেষ্টা ও সমন্বয়কারী রোটারিয়ান সাংবাদিক শাহজাহান সেলিম বুলবুল। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা রুহুল আমিন শিকদার।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি ১০ টাকা অন্ন প্রজেক্টের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান ডা. কামরুল ইসলাম, সহ সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক এম সাইফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মকবুল আহমদ ও মো. মোস্তফা কামাল শামীম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ফজলে রাব্বী মো. শফিউল, রোটারিয়ান ফখরুল ইসলাম, আসাদ উদ্দিন, আব্দুল কাদির, স্টুডেন্ট ইউনিটের সভাপতি জুলকার নাইন সাইরাস, সিনিয়র সহ সভাপতি আখলাকুজ্জামান লাহিন, সহ সভাপতি মো. কামরুজ্জামান কামরুল, বিষ্ণু রবি দাস, সাধারণ সম্পাদক তাওহিদ জাহান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহের আহমদ, তানভীর খান ফারদিন, জহিরুল ইসলাম রাব্বী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মো. সাইদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সাব্বির হোসেন, ধর্ম সম্পাদক রাশেদ মোস্তফা সাকিব, আইন সম্পাদক তারেক জাহান চৌধুরী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুর রহমান আবির, সহ আইন সম্পাদক রহিম উদ্দিন, আপ্যায়ন সম্পাদক ইয়াসিন রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক এনামুল হাসান রিপন প্রমুখ।
কাউন্সিলে সিলেট সোসাইটির ২০২৫-২০২৭ সেশনের জন্য মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরীকে সভাপতি, ডা. কামরুল ইসলামকে সিনিয়র সহ সভাপতি ও মাওলানা আব্দুল করিম শিকদারকে সাধারণ সম্পাদক, এম সাইফুর রহমানকে অর্থ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। অপরদিকে স্টুডেন্ট ইউনিটের ২০২৫-২০২৭ সেশনের জন্য জুলকার নাইন সাইরাসকে সভাপতি ও তাওহিদ জাহান চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কাউন্সিল উপলক্ষ্যে এক বণার্ঢ্য র‌্যালী নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিজ্ঞপ্তি

জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে হবিগঞ্জে সাইকেল শোভাযাত্রা

 

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশ বিপর্যয় এবং প্রাণ-প্রকৃতি, জীবন-জীবীকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভবিষ্যত এর কথা চিন্তা করে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মনোযোগী হতে হবে। জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। ঋণ নয়, আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। জলবায়ু উষ্ণতা থেকে বাঁচতে চাই।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় হবিগঞ্জে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে বৈশ্বিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বাই সাইকেল শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও প্লানেটিয়ার্স ক্লাব হবিগঞ্জ এর আয়োজনে এই সাইকেল শুভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বাডস কেজি এন্ড হাই স্কুল প্রাঙ্গনে সাইকেল শুভাযাত্রা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ সংগঠক বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: ইকরামুল ওয়াদুদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মদ জহিরুল হক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন, কবি তাহমিনা বেগম গিনি, পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের পরিদর্শক হরিপদ চন্দ্র দাস। মূল বক্তব্য রাখেন খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাডস কেজি এন্ড হাই স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন তপু, হবিগঞ্জ সাইক্লিং কমিউনিটির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, তারুণ্য সোসাইটির সভাপতি আবিদুর রহমান রাকিব, প্ল্যানেটিয়ার্স ক্লাব হবিগঞ্জের সমন্বয়কারী সজীব চন্দ্র গোপ, গাছ মামা হিসেবে খ্যাত মো: রায়হান, মুমিন ভ‚ঁইয়া প্রমুখ।
বাডস কেজি এন্ড হাই স্কুল প্রাঙ্গণে থেকে অর্ধশতাধিক সাইকেলিস্ট বিভিন্ন ব্যানার -ফেস্টুন নিয়ে শহর পদক্ষিণ করে পুরাতন খোয়াই নদীর স্টাফ কোয়াটার এলাকায় সাইকেল শুভযাত্রা সমাপ্ত করা হয়।

বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

বড়লেখা সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ময়নুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের চান্দগ্রাম বাজারের পেট্টল পাম্পের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ময়নুল ইসলাম উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের গোদামবাজার এলাকার মৃত আতাউর রহমানের ছেলে। তবে আহত অন্যদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এদিকে শুক্রবার বাদ জুম্মা জানজা শেষে ময়নুল ইসলামকে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ময়নুল ইসলাম সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বড়লেখা থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলার বারইগ্রামে যাচ্ছিলেন। চান্দগ্রাম বাজারের পেট্টল পাম্পের সামনে পৌঁছামাত্র বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ময়নুল ইসলামসহ ৪ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন ময়নুল ইসলামকে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পথেই আহত ময়নুল ইসলাম মারা যান।
বড়লেথা থানার ওসি মো. আবদুল কাইয়ূম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য নিহতের পরিবার এডিএমের অনুমতি নিয়েছে।

মুরাদপুর থেকে ১৬ লক্ষাধিক টাকার চোরাই চিনি জব্দ, আটক ১

স্টাফ রিপোর্টার

নগরীর মুরাদপুর এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি পাথর বুঝাই ট্রাক থেকে ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ টাকা দামের ২৮০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করে। এসময় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত আকবর মিয়া (৪২) জালালাবাদ থানার আঙ্গারুয়া (পোরাবাড়ী) এলাকার এলাইছ মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্তি উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মহানগরীর শাহপরাণ থানার আওতাধীন মুরাদপুর এলাকায় সড়কে চেকপোষ্ট শুরু করে পুলিশ। এসময় মুরাদপুরের দিকে আসা একটি ট্রাককে থামার জন্য সিগন্যাল দিলে ট্রাকটি থামে। ট্রাকে পাথর বুঝাই করা ছিলো। পরে সন্দেহেরবশে তল্লাশী করে কিছু পাথর সরাতেই পলিথিন দ্বারা আবৃত ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনি পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ টাকা। এসময় আকবর মিয়াকে আটক করা হয়। পরে তাকে পুলিশ স্কর্টের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন ব্যারিস্টার আনোয়ার

একে কুদরত পাশা, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জ-৩ শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর আসনে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন সদ্য বিলুপ্ত সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটির সহসভাপতি ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন।
বুধবার সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার উজানীগাঁও গ্রামে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার ভাষণা নিয়ে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। এ সময় সুনামগঞ্জ ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে পড়াশুনা, রাজনীতি কিংবা পেশা গঠনের পরও আমার নিজ এলাকার ভালবাসা প্রতিনিয়ত আমাকে বিভিন্ন ভাবে নাড়া দেয়, স্পন্দিত করে এবং জাগ্রত করে। মাটি এবং এ এলাকার মানুষের মায়া আমাকে বারবার ফিরে এনেছে এই ভ‚মিতে। ফলে, ১৯৮৬ সালে এসেক্স ইউনিভার্সিটিতে (টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঊংংবী, ঊহমষধহফ) পড়াশুনা করার সুযোগ পেয়েও মাত্র ৬ মাস পড়াশুনা করে দেশে ফিরে এসে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। এই দেশ, মাটি আর মানুষের মায়ায় বিগত ১১টি বছর ধরে সকল লোভ-লালসার উর্ধে উঠে আমি কাজ করে যাচ্ছি আমার এই নির্বাচনী এলাকায়।
বিলাতে আমার বাড়ি-গাড়ি উপার্জনের সব উপায় থাকা সত্তে¡ও এত বছর ধরে আমি পরে আছি এক নেশায় আর তা হচ্ছে আমার এই নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা। সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক কর্তৃক আমার বিরুদ্ধে লন্ডনে একটি এবং বাংলাদেশে একটি সহ দুটি মামলা হয়েছিল। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কে সমর্থন করে আমারদেশ অফিসে প্রতিবাদ সভায় অংশ গ্রহণ এবং বিচারপতি মানিকের অপ-কর্মের কিছু দলিল আমার দেশ সম্পাদককে প্রদান করার কারণে আমি ২০১২ সালের নভেম্বরে আমার দেশ অফিস থেকে গ্রেফতার হয়েছিলাম। বিগত ১১ টি বছর ধরে এত সব প্রতিক‚ল অবস্থা সত্তে¡ও স্ত্রী-সন্তান বা নিজের আরাম আয়েশের কথা না ভেবে যেভাবে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম আগামীতেও থাকতে চাই-এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে আজকে আমার নির্বাচনী এলাকার সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ, মুরব্বিয়ান, যুবকদের সাথে নিয়ে এবং আপনাদের উপস্থিতির মাধ্যমে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের আমি আমার প্রার্থীতা ঘোষণা করছি। আমি আশা করছি এবং সবিনয় নিবেদন করছি যে, আমার নেত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান আমাকে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ তথা বিএনপির একজন প্রার্থী হিসাবে সক্রিয় বিবেচনার দৃষ্টিতে দেখবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছবিল নূর বাচ্চু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য এসএম রাবেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজমুল হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জমিল হোসেন, রিয়াদ, সাইফুল মুল্লুক, শের আলম শিশু, বিধান বাবু, রবিনূর, সেলিম, আলী নেওয়াজ, মুর্শেদ আহমদ, হৃদয় প্রমূখ।

 

সংবিধান থেকে ‘জাতির পিতা’ ও ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ বাতিল চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল

কাজির বাজার ডেস্ক

সংবিধান থেকে সমাজতন্ত্র, জাতির পিতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মতো কিছু বিষয় বাদ দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বুধবার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে জারি করা রুল শুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এই শুনানি হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে এটা না যে হাজার হাজার মানুষকে গুম করা হবে, ৬০ লাখের বেশি মানুষকে গায়েবি মামলায় আসামি করা হবে, বিচারবহিভর্‚তভাবে হত্যা করা হবে। যাদের হাত নেই, এ রকম মানুষকে আসামি করে বলা হয়েছে, তারা বোমা মেরেছেন। হজে থাকা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে এসব হতে পারে না।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সংবিধানের ৭খ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সংবিধানের মূলনীতি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র না। আমরা সমাজতন্ত্র বাদ চাচ্ছি। শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে কেউ অস্বীকার করে না। জাতির পিতা নিয়ে সিরিয়াস বিতর্ক আছে। জাতি বিভক্ত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৈরি করা সংবিধানে জাতির পিতা ছিল না। এটি পঞ্চদশ সংশোধনীতে ঢোকানো হয়েছে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন করা হয়েছে-তার (শেখ মুজিব) বিরুদ্ধে কথা বললেই রাষ্ট্রদ্রোহ হবে। তাকে জাতির পিতা বলা সংবিধানের স্পিরিটের পরিপন্থী।’
সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ আইন কর্মকর্তা বলেন, এটার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে ভাষা দিয়ে জাতিসত্তা নির্ধারণ করা হয় না। ৭ক ও ৭খ অনুচ্ছেদের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য, গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য করা হয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্যে স্বৈরশাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য করা হয়েছে। এটি আইনের শাসনের পরিপন্থী।
অনুচ্ছেদের ৮-এর বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটা রাখার দরকার নেই। এই দেশের ৯০ ভাগ মুসলমান। আগে আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের কথা ছিল। এটা যেভাবে আগে ছিল সেভাবে চাচ্ছি। আর ২ ক-তেই বলা আছে, রাষ্ট্র সকল ধর্ম পালনে সমান অধিকার ও সমমর্যাদা নিশ্চিত করবে। অনুচ্ছেদ ৯-এ ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’-এর কথা বলা হয়েছে। এটি সাংঘর্ষিক।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে আরও বলেন, তত্ত¡াবধায়ক সরকার বাতিলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে, মৌলিক অধিকার ধ্বংস করা হয়েছে। কেন পঞ্চদশ সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না? এটা সংবিধানের অংশ হিসেবে রাখা যাবে না। পঞ্চদশ সংশোধনী রাখা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থান ও ’২৪ এর জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল না হলে আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না।

৬ হাজারের বেশি অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২৫০০

কাজির বাজার ডেস্ক

অপরাধ দমন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে জানিয়ে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেছেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি অস্ত্র করা হয়েছে। এছাড়া ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। অস্ত্র-গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেনানিবাসের বনানী রেল ক্রসিং সংলগ্ন স্টাফ রোডের মেসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত দুই মাসে সাতশর বেশি বিভিন্ন ধরনের ‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি’ নিয়ন্ত্রণ করেছে সেনাবাহিনী। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪১টি, সরকারি সংস্থা ও অফিস সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ৮৬টি, রাজনৈতিক দলের ঘটনা ছিল ৯৮টি।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান জানান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে এ পর্যন্ত ৬০০টির বেশি আনরেস্ট হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ভায়োলেন্ট ছিল। অন্যান্য বাহিনীর সহায়তা নিয়ে এগুলো যদি সময়মতো প্রতিরোধ বা শান্ত করার ব্যবস্থা না করা হতো, তাহলে অনেক বেশি ঘটনা ঘটতে পারত।
অপরাধের সংখ্যা ‘অনেক কমেছে’ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ার পর অপরাধের সংখ্যা ‘অনেক কমেছে’। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। তবে যতটুকু আশা করা গেছে সে অনুযায়ী উন্নতি হয়নি। পুলিশ বাহিনী ধীরে ধীরে তাদের কার্যক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে। অন্যান্য বাহিনীর সহায়তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, জনগণের জানমাল, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাকে রক্ষা করার পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীকে পুনরায় কার্যক্ষম হতে সহায়তা করে আসছে সেনাবাহিনী। বিদেশি ক‚টনীতিক, দূতাবাস ও কারখানার নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার কাজটিও সেনাবাহিনী করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বিচারবহিভর্‚ত হত্যা বন্ধে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে নির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে, সেনাবাহিনী যে কোনো পরিস্থিতিতে তা প্রতিরোধে করবে। অনেক ঘটনাই ঘটে গেছে, যেগুলো জনসম্মুখে আসে না।

সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন : কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসায়ীর জমি দখল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসায়ীর জমি দখল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দলইরগাঁও মাঝপাড়া গ্রামের মাস্টার ইরফান আলীর পুত্র মো. বজলুর রশিদ। তিনি জমি উদ্ধার এবং পুড়িয়ে দেওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে বজলুর রশিদ বলেন, ‘আমার গ্রামের ফারুক চক্রের কবলে পড়ে আমি আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ফারুক ও তার ভাইয়েরা আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় কোথাও প্রতিকার পাইনি। তারা থানা পুলিশ কিংবা পঞ্চায়েত কাউকে তোয়াক্কা করেনি। ভয়ে এলাকার লোকজন তাদের অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাÐের প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার ক্রয়কৃত ভ‚মি ফারুক চক্র দখল করে উল্টো হত্যার চেষ্টা করছে। লাল মিয়ার পুত্র ফিরোজ মিয়া, ফারুক মিয়া, সুরুজ মিয়া, শাহিদ আলী, ফিরোজ মিয়ার পুত্র তোফায়েল মিলে আমাকে নিঃস্ব করার পায়তারা করছে।’
বজলুর রশিদ বলেন, ‘আমার ভাই শফিকুর রহামনের স্ত্রী নেহারুন নেছার কাবিনসূত্রে প্রাপ্ত ভ‚মি থেকে ৩ শতক ভ‚মি ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর ক্রয় করি। যার দলিল নং ১৭৩২। আমার মা সৈয়দুন নেছার ১২ শতক, আমার ভাবী নেহারুন নেছার জমিসহ মোট ১৯ শতক ভ‚মি জবরদখল করেছে ফারুক চক্র।’
তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের স্ত্রীর নিকট থেকে কেনা ৩ শতক ভ‚মি আমার নামে নামজারীসহ সকল রেকর্ডপত্র আমার নামে ছিল। কিন্তু প্রিন্ট পর্চা বের হওয়ার পর দেখতে পাই পর্চায় ফিরোজ মিয়া ও ফারুক গংদের নাম। এ বিষয়ে আমি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করি। যার নং ১৫৭৭/২০২২।’
তিনবার ফারুক গংদের হামলার শিকার হয়েছেন বজলুর রশিদ বলেন, ‘ফারুক গংরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। গ্রামের পঞ্চায়েতের স্মরণাপন্ন হলে কোনোভাবে সুরাহা করতে না পেরে তারা আইনের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন। সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু মামলা করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছি বারবার।’
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করে বজলুর বলেন, ‘ফারুক গংরা শুধু জায়গা দখল কিংবা আমার ওপর হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি তারা আমার একমাত্র আয়ের উৎস রাইস মিল ও মুদির দোকান রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দিয়েছিল। পুড়িয়ে দেওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতেও তারা বাধা দেয়। পরে এলাকার মানুষের সহযোগিতায় তা সংস্কার করলেও বিদ্যুৎ সংযোগে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।’
সন্ত্রাসী ফারুক ও শাহিদ আলী মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মাদক মামলায় ফারুক জেলও খেটেছে। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হলেও আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ফারুক গংরা এখনও বেপরোয়া।’
বজলুর রশিদ ফারুক গংদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বিনিয়োগের টাকাও হারিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘ফারুক আমার সাথে এই সব ঘটনার আগে ধোপাগুলের আল মক্কা স্টোনক্রাসার মালিক সেলিম মাহবুব লিটুর সঙ্গে ব্যবসার জন্য পরিচয় করে দিয়েছিল। পরিচয়ের পর আমি সরল বিশ্বাসে ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য লিটুকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করি। আমার পুজিকৃত সেই অর্থ স্টোন ক্রাসার মালিক লিটু ও ফারুক আত্মসাৎ করে। লিটুর আত্মীয় ঝিনাইদহের রবিউল হক পাওনা টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে এক লাখ টাকা নিয়েছিল। সেটাও পাওয়া যায়নি।’ তিনি এই সন্ত্রাসী ও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আত্মসাৎকৃত টাকা ও জমি উদ্ধারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

সব কিছুর জন্য এখন একটি নির্বাচিত সরকার নির্বাচিত সংসদ জরুরি : হুমায়ূন কবির

 

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ূন কবির এর সাথে সিলেট জেলা বিএনপির শুভেচ্ছা বিনিময় সভার অতিথি হিসেবে বক্তব্য বলেন, দু বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, এটি তারেক রহমানের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমাদের উপমহাদেশেও এটি একটি বিরল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ইন্টারিম গর্ভমেন্ট হচ্ছে সরকার গুলোর মধ্যে শর্ট ফর্ম। অন্তর্র্বর্তী সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়।
বুধবার বিকাল ৪ টায় শাহী ঈদগাহস্থ শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ূন কবিরের সাথে সিলেট জেলা বিএনপির শুভেচ্ছা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, জনগণের ভালোবাসার মধ্যে থেকেই আমাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতি চলবে। যেভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চান। সিলেট বিভাগের জন্য ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য শুভকামনা করে তিনি বলেন এই বিভাগের নেতৃত্ব দেয়ার কিছু ঘাটতি পুরন করেছে বর্তমান নেতৃত্ব গুলো। সভায় অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাছে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের আহবান জানান তিনি। সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জিকে গউছ বলেন, দেশে রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা, সব কিছুর জন্য এখন একটি নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত সংসদ অত্যন্ত জরুরি।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আজকে শুভেচ্ছা বিনিময় যার সাথে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। সিলেট বাসী বিষয়টি নিয়ে গর্ব করে। হুমায়ুন কবিররা বিএনপির সাথে বিদেশি রাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।
বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে সংস্কার ও নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ না হওয়াতে জনগণ চিন্তিত। অন্তর্র্বর্তী সরকারের দ্রæত ঘোষণা পেলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদি, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন (চাকসু), জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আশিক উদ্দিন চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী ও অ্যাড. হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যঠড. মোমিনুল ইসলাম মোমিন, সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ। সভার প্রারম্ভে কোরআন তেলাওয়াত করেন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আমন্ত্রিত অতিথি ও জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও শুভেচ্ছা বিনিময় কালে আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুস সাত্তার ও শাহেদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক অ্যড. তাহির রয়হান চৌধুরী পাবেল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দেলোয়ার হোসেন সাহিন, ফ্রান্স স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক গোলাম মাহমুদ আযম, লন্ডন বিএনপি নেতা শামিম আহমদ চৌধুরী।