গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সীমানা জটিলতা নিরসন হওয়ায় গোলাপগঞ্জের পৌরসভা নির্বাচনের মাঠে থাকা সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের মাঝে দেখা দিয়েছে প্রাণ চাঞ্চল্য। দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। দীর্ঘদিন থেকে এ পৌরসভা সীমানা জটিলতা সংক্রান্ত রিটের কারণে নির্বচন হবে কি- না এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। তাদের মাথায় ছিল অমানিশার ঘোর অন্ধকার। নির্বাচন কমিশনের মাত্র একটি ঘোষণাই পাল্টে গেলো গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার নির্বাচনের পুরো চিত্র। এ যেন “মেঘলার আকাশে সূর্য়ের ঝলকানি”। গত সোমবারে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার এ রিটের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে উক্ত রিটের মামলাও খারিজ হয়। এ সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকায় আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা তাৎক্ষণিক আনন্দের উল্লাসে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেন। এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায়ও চলছে তোলপাড়। গতকাল মঙ্গলবার পৌর সদরে আনন্দ মিছিল করেছেন পৌর এলাকাবাসী। বিকাল ৪টায় পৌর সদরের চৌমুনী থেকে মিছিল বের করে পৌর সদরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিণ করে আহমদ খান রোডের একটি মার্কেটের সামনে পথসভায় তারা মিলিত হন। এদিকে গতকাল থেকে সম্ভাব্য পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা পুরোদমে প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন। এর আগে অনেক প্রার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন এ নির্বাচন নিয়ে। নীরবে নির্বাচনি মাঠে প্রচার প্রচারণাও চালিয়ে গেলেও ভেতরে ভেতরে ছিল শঙ্কা। কিন্তু তাদের মনে শঙ্কা ছিল নির্বাচন হবে কি না। এ নিয়ে ভোটাররাও ছিলেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। অনেকে দৌঁড়ঝাঁপ করেন নির্বাচনের পক্ষে বিপক্ষে। শেষ পর্যন্ত রিটটি খারিজ হয়ে গেলে শুরু হয় পুরোদমে নির্বাচনী তোলজোড়। ক্রমেই রাস্তাঘাট, দোকানপাট, বাসাবাড়ি ও হোটেল রেস্তোরায় প্রচার প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। গতকাল নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করার পর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যস্ততা লক্ষ্যে করা গেছে।