সিন্টু রঞ্জন চন্দ :
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর গতকাল বুধবার রিভিউ এর চূড়ান্ত রায়কে কেন্দ্র করে মহানগরীতে নাশকতা আশঙ্কায় প্রশাসন থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
পাশাপাশি নগরীর পাঁচতারা হোটেল, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহলে রয়েছেন। বিজিবি, সাদা পোষাকধারী পুলিশ, র্যাব-পুলিশ টহল দিতে দেখা গেছে। অদূরে প্রস্তুত আছে জলকামান। একই সঙ্গে জেলার সবকটি থানা এলাকায় অতিরিক্ত ফোর্স নামানো হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে প্রশাসন এ টহল জোরদার করে।
এদিকে, গতকাল বুধবার দুপুর দেড় টার দিকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মুজাহিদ ও সাকার রিভিউর চূড়ান্ত রায় ঘোষনার পর পর নগরীর সাগরদিঘীরপার এলাকায় জামায়া-শিবির কর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় জামায়াত-শিবির কর্মীরা কয়েকটি হাতবোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। জামায়াত শিবিরের মিছিল এর পরে পুলিশ ৩ জনকে আটক করে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা অনুযায়ী জামায়াত-শিবির সারাদেশ ব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ ৩ জন আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দু’একটি স্থানে মিছিল করার চেষ্টা করে জামায়াত শিবির ও ছাত্রদল। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তারা পালিয়ে যায়।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ বলেন,সাদা পোশাকে মহানগরীর অলি-গলিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।’ পাশাপাশি রাস্তার মোড়ে মোড়ে সন্দেহভাজন ও গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুজ্ঞান চাকমা বলেন, গতকাল সকাল থেকে সিলেটের উপজেলা সদরগুলোতে ১৩ শতাধিক ফোর্স নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। সেই সঙ্গে রিজার্ভ ফোর্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নেওয়ার পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’