জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জকিগঞ্জে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪, সদ্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে ১৫ প্রধান শিক্ষকসহ ৯৭ জন সহকারী শিক্ষকদের পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক শূন্যতায় লেখা পড়ায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এসব স্কুলে শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে অভিভাবকরা চিন্তিত। অবসর, পিটিআই প্রশিক্ষণ ও বদলী জনিত কারণে এসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রযেছে বলে নিশ্চিত করেছে জকিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিস। বিপুল সংখ্যক পদ শূন্য থাকায় ব্যহত হচ্ছে সীমান্ত উপজেলা জকিগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে অনেক বিদ্যালয়ে ৩/৪ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। প্রধান শিক্ষক বিহীন স্কুলগুলোতে সহকারী শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রধান শিক্ষকের কার্যক্রম। সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থাকায় বেশী সময় অফিসিয়াল কাজে শিক্ষা অফিস, ট্রেনিং ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে হয়। যার ফলে স্কুলে নিয়মিত পাঠদান দেয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
জানাগেছে, দীর্ঘদিন থেকে বদলী ও অবসর জনিত কারণে উপজেলার চককেনাগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিলগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরচক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিদনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়চালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব জামডহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামালপুর (ক) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামালপুর (খ) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোহারমহল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নরসিংহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মির্জারচক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গর্দিশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মামরখানি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সিবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নগরকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাতারগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসুলপুর গৌছআলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঘুরচক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মঙ্গলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌধুরী বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিরাশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুরকায়স্থপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুপড়িরপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুরানন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘেচুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নূন নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাতিডহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনসুরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সদ্য জাতীয় করণকৃত বাল্লাহ আর্দশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহ শরীফ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোনাগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারিগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঈদগাহ বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুুমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিয়াগুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর ফুলতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব নিদনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইনামিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষীরায়ের চক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহিদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। পিটিআই ট্রেনিং ও অবসর জনিত কারণে উপজেলার মনসুরপুর, মঙ্গলপুর, মধ্যে খিলোগ্রাম, মানিকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪৯টি বিদ্যালয়ে ৯৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক শূন্যতার কারণে সমাপনী ও অন্য শেণীর বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। সমাপনী পরীক্ষার্থীরা সন্তুষ্টজনক ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন অভিভাবকরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিজ উদ্দিন মিঞা বলেন, শিক্ষক শূন্যতার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি এ বিষয়ে তারা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।