সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন বন্ধ

76

পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে :
প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ রেল ষ্টেশন বন্ধ রয়েছে। যার ফলে এখানেকার যাত্রী চরম ভোগান্তি রয়েছেন। ষ্টেশন বন্ধ থাকায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের হবিগঞ্জের লস্করপুর, শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও, ইটাখোলা ও কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও এবং ভাটেরা রেল ষ্টেশনগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। তবে এসব ষ্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বহাল রাখা হয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হলেও রেল কর্তৃপক্ষ বন্ধ থাকা ষ্টেশনগুলো চালু করার কোন উদ্দোগ না নিয়ে একের পর এক ষ্টেশন বন্ধ করে দিচ্ছে। সম্প্রতি লংলা রেল ষ্টেশনের কর্তব্যরত দু’মাষ্টারের মধ্যে একজনকে কুলাউড়ায় ও অপরজনকে রশীদপুর বদলী করে দেয়ায় গত ১ নভেম্বর থেকে লংলা রেল ষ্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃটিশ শাসনামলে শিল্পকারখানাসহ চা-বাগান বেস্টিত মালামাল পরিবহন ও এলাকার জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে স্থাপিত লংলা, টিলাগাঁও, লস্করপুর, ইটাখোলা এবং ভাটেরা রেল স্টেশনগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ন হলেও বন্ধ স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ দিন যাবৎ ট্রেনের ক্রসিং বন্ধ থাকার কারনে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামী আন্তঃনগর ট্রেনসহ লোকাল ট্রেনগুলোর সিডিউল বিপর্যয় নিত্য-নৈমত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে ও অপরদিকে স্টেশনগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়ায় সংঘবদ্ধ লোহা চোরেরা স্টেশনের মূল্যবান উপকরণ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
এসব স্টেশনের শতশত যাত্রীর একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম রেল ষ্টেশন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ট্রেনের খবর জানতে, মালামাল বুকিং ও টিকেট সংগ্রহ করতে পারছেন না। ফলে অসংখ্য যাত্রী সিলেট, আখাউড়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামে যাতায়াতে ও মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা অনতিবিলম্বে বন্ধ স্টেশনগুলোতে পূনরায় মাস্টার নিয়োগ করে স্টেশনগুলো সচল করে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি অবসান ঘটানোর জন্য রেলওয়ে মন্ত্রিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।