দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ১০ হাজার মানুষ ২১৬ ঘন্টা পর আলোকিত

30

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সংবাদ প্রকাশের পর দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ দীর্ঘ ২১৬ ঘন্টা অন্ধকারে থাকার পরে বিদ্যুৎ পেল।
গত ৩০ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ২টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের মাহমুদপুর, দামোধরতপী, চুরখাই, আলমপুর, নোয়াগাও গ্রামের ১০ হাজার মানুষ ছাতক পিডিবির আওতাভোক্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে এলাকার মানুষ ছাতক পিডিবি অফিসে যোগাযোগ করলে পিডিবি কর্মকর্তারা এলাকার মানুষকে বলেন, এ এলাকার বিদ্যুৎ লাইনের ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গেছে, নতুন ট্রান্সফরমার লাগাতে হবে, আপনারা আমাদেরকে ১ লক্ষ টাকা দিলে তা লাগিয়ে দেওয়া হবে।
পরে গত সোমবার স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে সংবাদ প্রকাশ হলে পিডিবি কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেন। এর পরই স্থানীয় সংসদ সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের দৃষ্টিগোচর হলেই পিডিবি কর্মকর্তাদের তা দ্রুত সমাধান করার জন্য নির্দেশ দেন।
এরই প্রেক্ষিতে শনিবার বিকাল ২টা ১৫ মিনিটে ৯ দিন পর (২১৬ ঘন্টা) ছাতক পিডিবি কর্মকর্তারা এ এলাকায় ২টি নতুন ট্রান্সফরমার (প্রতিটি ১০০ কেবি) লাগিয়ে বিদ্যুৎ লাইন সচল করেন, কিন্তু এলাকার আতঙ্ক রয়েই গেল। কাঁচা ও শুকনা বাঁশের খুঁটি অপরিবর্তীত রয়েই গেছে।
তার পরও এলাকার মানুষ বিদ্যুৎ পেয়ে স্থানী সংসদ সদস্য, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও কর্মরত সাংবাদিক-পত্রিকার স¤পাদকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল হক বেগ সহ এলাকার মানুষের সাথে আলাপ কালে এ প্রতিবেদকে বলেন, স্থানী সংসদ সদস্য, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের সহযোগিতায় ও এলাকার কর্মরত সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করায় আমরা আজ বিদ্যুৎ পেয়েছি এ জন্য আমরা অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, এর পাশা-পাশি স্থানীয় সাংবাদিক-পত্রিকার স¤পাদকদের প্রতিও আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তারা আরও বলেন, ট্রান্সফরমার লাগালেও এলাকার মানুষের আতঙ্ক রয়ে গেছে। এ এলাকার অনেক জায়গায় বাঁশের খুঁটি পরিবর্তন করেননি পিডিবি কর্মকর্তারা, আমরা সেই বাঁশের খুটির পরিবর্তে নিরাপদ বিদ্যুৎ লাইন চাই। সেটা যেন পিডিবি কর্মকর্তারা দ্রুত সমাধান করেন। এ ব্যাপারে ছাতক পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকারের সাথে আলাপকালে ট্রান্সফরমার লাগানোর সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, বাঁশের খুঁটির ব্যাপারে চীফ ইঞ্জিনিয়র ও মুখ্য সচিব সাহেবের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা বলেছেন কিছুদিনের মধ্যেই বাশের খুঁটি পরিবর্তন করা হবে।