কাজিরবাজার ডেস্ক :
সদ্য অনুষ্ঠিত তিন সিটি নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ দায়েরের সুবিধার্থে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠনের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, তিন সিটির জন্য তিনটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। এছাড়া একটি করে আপিল ট্রাইব্যুনালও থাকবে।
ইসির পরিকল্পনা থেকে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এর জন্য একজন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজকে (ঢাকা) নিয়ে গঠন হবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ঢাকা) নিয়ে গঠিত হবে আপিল ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একজন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজকে (ঢাকা) নিয়ে গঠন হবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ঢাকার সমন্বয়ে গঠন হবে আপিল ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের জন্য যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ চট্টগ্রামকে নিয়ে গঠন হবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়) চট্টগ্রাম এর সমন্বয়ে গঠন হবে আপিল ট্রাইব্যুনাল।
তিন সিটি নির্বাচনের সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারবেন।
সিটি নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বা ব্যক্তিকে মামলা করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল মামলা হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে অভিযোগ চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করবেন।
সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তুষ্ট না হলে আপিল ট্রাইব্যুনালেও আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে চূড়ান্তভাবে মামলা নিষ্পত্তি করবেন।
ইসির নাম প্রকাশে একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নির্বাচনের দিন থেকে শুরু রবিবার পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে কয়েকশ’ অভিযোগ দিয়েছেন সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা। এ প্রতিবেদকের সামনেও রবিবার বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে অভিযোগ দায়ের করতে দেখা গছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রার্থীর কোনো অভিযোগ থাকলে তা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দিতে হবে। ইসিতে অভিযোগ করলে কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না। শিগগিরই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপ-সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তিন ধরণের প্রতিকার ট্রাইব্যুনালের কাছে চাইতে পারবেন প্রার্থীরা।
প্রথমত, কোনো প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল অর্থাৎ বিজয়ী প্রার্থীর ফলাফল বাতিল।
দ্বিতীয়ত, কোনো প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল ও নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করা।
তৃতীয়ত, সামগ্রিকভাবে পুরো নির্বাচন বাতিল অর্থাৎ পুনরায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা।