স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর তালতলার হোটেল বিলাস থেকে এক ব্যাবসায়ীর এক লক্ষ ২৬ হাজার টাকার মালামাল রহস্যজনকভাবে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ এ চুরির দায় এড়িয়ে যেতে নানা ফন্দি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তারা বলছে এ চুরির সাথে বোর্ডার নিজেই জড়িত। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। চুরির কবলে পড়া ব্যবসায়ী মোঃ চান মিয়া। তিনি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার চিরপসা গ্রামের বাসিন্দা।
ব্যবসায়ী চান মিয়া জানান, নগরীর মির্জাজাঙ্গালস্থ নির্ভানা ইনের বৈশাখী মেলায় শার্ট-প্যান্টের ২টি ষ্টল দেন তিনি। ষ্টলের মধ্যে অপরটি রয়েছে জুতার। তিনি তালতলার হোটেল বিলাসে ১৮ দিন ধরে ৪তলার ৩১৩ নং রুম ভাড়া করে রয়েছেন। রুমের নিয়মিত ভাড়া দিয়ে আসলেও ৮শ টাকা বাকি থাকায় হোটেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কফিল উদ্দিনের সাথে সকালে তার বাকবিতন্ডা হয়। চান মিয়া টাকা পরিশোধের সময় চাইলেও তার সাথে করা হয় দুর্ব্যবহার। এমনকি তার মোবাইলও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে ব্যবসায়ী বাধ্য হয়ে দোকান থেকে কর্মচারিকে দিয়ে টাকা এনে তা পরিশোধ করেন। তিনি দোকানে চলে যাওয়ার পর রুমের তালা ভেঙ্গে ব্যবসায়ীর ৫ বান্ডিল প্যান্ট ও ১০ ডজন জুতা যার মূল্য এক লক্ষ ২৬ হাজার টাকার মালামাল তালা ভেঙ্গে নিয়ে যায়। বিকেলে তিনি রুমে এসে এ অবস্থা দেখে প্রথমে হোটেলের ম্যানেজার ও মালিকপক্ষের লোক কফিল উদ্দিনকে বিষয়টি অবগত করেন। কিন্তু তাদের আচরণটি ছিলো রহস্যজনক। তাই চান মিয়া বাধ্য হয়ে পুলিশকে অবগত করেন। খবর পেয়ে লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রবিউল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রবিউল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ অভিযোগটি মিথ্যা। আমাদের ধারণা চান মিয়া নিজের মধ্য থেকে এ ঘটনাটি করেছেন। তবে সকালের ঘটনাটি সত্য।