বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
বড়লেখা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বুধবার উপজেলার চুকারপুঞ্জি গ্রামে যেন মিটার মেলার আয়োজন করে ! নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কিছু ঘরের ওয়ারিং ছাড়াই এ গ্রামের দু’শ পচাশি জন গ্রাহককে একস্থানে জড় করে হাতে হাতে মিটার বন্টন করেছে।
জানা গেছে, ওয়ারিং ইন্সপেক্টরের ক্লিয়ারেন্সের পর বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে আগ্রহী গ্রাহকের ঘরে মিটার প্রদানের নিয়ম রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ওয়ারিং ইন্সপেক্টর সৈয়দ মুহিত আলী উৎকোচ পেলে সরেজমিনে পরিদর্শন না করে গ্রাহকের ঘরের ওয়ারিং না থাকলেও রিপোর্ট প্রদান করেন। এমনও দেখা যায় ওয়ারিং সঠিক অথচ তাকে খুশী করতে না পারায় অনেক গ্রাহক মিটার সংযোগ পাননি। বুধবার উপজেলার চুকারপুঞ্জি গ্রামে দু’শ পচাশি জন গ্রাহকের মধ্যে মিটার বন্টন করেন পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান তালুকদার রেজাউল, মুমিন আলী ও সফিক উদ্দিন। এ লাইন নির্মাণের ছয়মাস অতিবাহিত হলেও ইতিপূর্বে ওয়ারিং সম্পন্ন না করেই মিটার সংযোগ ও বন্টন করা হয়।
চুকারপুঞ্জি কমিউনিটি ক্লিনিকের হেল্থ প্রোভাইডার রুবি রানী দাস জানান, ওয়ারিং ইনসপেক্টর সৈয়দ মুহিত আলী ক্লিনিক পরিদর্শন করেননি অথচ বিনা ওয়ারিংয়ে মিটার সংযোগ দেয়া হয়েছে।
ওয়ারিং ইন্সপেক্টর সৈয়দ মুহিত আলী জানান, বিভিন্ন কারনে ৫০ জন গ্রাহকের ওয়ারিং বাকী রয়েছে। ওয়ারিং কমপ্লিটের ক্লিয়ারেন্স না থাকলে মিটার সংযোগের নিয়ম আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।
পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নীল মাধব বণিক জানান, কাজে সহযোগিতার জন্য গ্রাহকদের ডেকে মিটার বন্টন করা হয়। সকল গ্রাহকের ঘরের ওয়ারিং সম্পন্ন হয়েছে এ দাবী করে তিনি বলেন লাইনম্যান বাড়ী বাড়ী গিয়ে মিটার সংযোগ দেবে।