ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকের নোয়ারাই-বাংলাবাজার-বাঁশতলা সড়কে প্রায় এক যুগেও সংস্কার কাজ করা হয়নি বলে জানা গেছে। প্রায় ২৮ কিলোমিটার সড়ক ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ ও যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সড়কে সৃষ্ট হওয়া বড়-বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে বর্তমানে যানবাহন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নসহ দোয়ারাবাজার, নরসিংপুর ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলাচল করে আসছে। স্থানীয় এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে সড়ক সংস্কারের দাবী জানালেও বিষয়টি সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হচ্ছে না। এরফলে বড়-বড় গর্তে ভরপুর সড়ক দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে এ এলাকার লোকজন। সড়কটির নাজেহাল অবস্থার কারণে যানবাহনের ভাড়াও দ্বিগুণ হারে আদায় করছে শ্রমিকরা। দিনের বেলা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রী সাধারণ যাতায়াত করলেও সন্ধ্যার পর বাংলাবাজার ও নরসিংপুর যাওয়ার মতো কোন যানবাহন পাওয় যায় না। ফলে এসব এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নোয়ারাই-বাংলাবাজার-বাশঁতলা প্রায় ২৮কিলোমিটার সড়কে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে অটোটেম্পু, ফোরষ্ট্রোক (সিএনজি), পাওয়ার টিলার, কুত্তা গাড়ী ও অবৈধ যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল। এ সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন যাতায়াত না করলেও সড়কের বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
একদিকে সড়কটি খানা-খন্দে ভরপুর অন্য দিকে সড়কের প্রশস্ততা ন্যূনতম হওয়ায় গাড়ি ক্রসিংয়ের সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা থাকে বেশী। যান চলাচলে অনুপযোগী এ সড়কে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। নোয়ারাই-বাংলাবাজার প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে ২২টি ব্রীজ-কালভার্ড। প্রত্যেকটি ব্রীজ-কালভার্ডের উভয় পাশের এপ্রোচ দিয়ে যানবাহন উঠা-নামা করতে হয়। এছাড়া নোয়ারাই-নরসিংপুর প্রায় ১০কিলোমিটার সড়কও সংস্কারের অভাবে যান চলাচলে অনুপযোগী। এসব অঞ্চলের স্কুল-মাদ্রাসা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও এলাকার জন-সাধারণের নিরাপত্তার জন্য বারবার সড়ক সংস্কারের দাবী করলেও কোন সুফল হয়নি। নোয়ারাই-বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাসিন্দারা দ্রুত সড়ক সংস্কারের জন্য ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী সমরেন্দ্র দাস তালুকদার বলেন, ইতিমধ্যেই নোয়ারাই-বালিউড়া পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ ও ২কোটি টাকা সংস্কার কাজে ব্যয় ধরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে দরপত্র আহবান করার সম্ভাবনা রয়েছে।