জগন্নাথপুরে বোরো ধান কাটা শুরু, কৃষকের মুখে হাসি

179

potoমোঃ শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওরে হাওরে সোনালী ধান বাতাসের তালেতালে দুলছে। এ যেন এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। জমিতে উৎপাদিত পাকা ধান দেখে কৃষক-কৃষাণীর মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে বোরো ধানকাটা শুরু হয়। হাওরে ধান কাটা শুরু হওয়াতে সর্বস্তরের জনতার মধ্যে আলাদা আনন্দ বিরাজ করছে। বৈশাখী ধান কাটা শুরু হলে প্রতি বছর বাজারে চালের দাম কমে। এবারো ধান কাটা শুরু হয়েছে, বাজারে চালের দাম কমবে এমন আশায় স্বস্তি ফিরে আসে খেটে খাওয়া জনসাধারণের মাঝে। যদিও আগামী কয়েক দিন পরে পুরোদমে ধান কাটার ধুম পড়বে। বর্তমানে ধান কাটার শ্রমিক সংগ্রহ, ধান মাড়াই মেশিন সংগ্রহ, ধান শুকানোর মাঠ তৈরী, ধান রাখার গোলা তৈরীসহ বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়ার হাওর, মইয়ার হাওর, দলুয়ার হাওর, মমিনপুর হাওর, পিংলার হাওরসহ ছোট-বড় মোট ৯ টি হাওরের ২০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়। এবার ১৭ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান উপশী, ২ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ২২০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো ধান আবাদ করা হয়। সময় মতো বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যদিও কয়েক দিন আগে শিলাবৃষ্টিতে ধানের আংশিক ক্ষতি হয়। এবার জগন্নাথপুরে সরকারিভাবে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার মেট্রিক টন। তবে ধান কাটার শেষ সময় পর্যন্ত প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার অধিক ধান গোলায় উঠবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, জগন্নাথপুরে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়াতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শিলাবৃষ্টিতে ধানের সামান্য ক্ষতি হলেও লক্ষ্যমাত্রায় কোন প্রভাব পড়েনি।