ফয়েজ মোরতাজা শাবি থেকে :
হলে উঠাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের দুটি গ্র“পের মধ্যে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সকাল সাড়ে নয়টায় ক্যাম্পাসে মূল কমিটি প্রবেশ করলে এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পদবঞ্চিত গ্র“পের নেতাকর্মীরা সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত অমান্য করে আবাসিক হল এলাকায় বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ এবং পুলিশী প্রহরায় আবাসিক হলে ভর্তি সম্পন্ন করে সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান, সহ সভাপতি আবুু সাইদ আকন্দ ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাজিুদুল ইসলাম সবুজ সমর্থিত নেতাকর্মীরা।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী হলে ওঠার জন্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেও সাথে সাক্ষাৎ তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে। অপরদিকে একই সময়ে আবাসিক হলে অবস্থানরত সহ সভাপতি অঞ্জন গ্র“পের নেতাকর্মীরা শাহপরান হলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং অঞ্জন গ্র“পের নেতাকর্মীরা হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার পর্যন্ত শোডাউন ও শ্লোগান দেয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আরোয়ারুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য ফারুক উদ্দিন সহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গেলে অঞ্জন গ্র“প সমর্থিত নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়।
পরে দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আমিনুল হক ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কবির হুসেন। পরে তারা শাহপরাণ হলে মিটিং করে ছেলেদের তিনটি আবাসিক হল পরিদর্শন করেন। তার কিছ্ ুপরেই বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশী প্রহরায় হলে প্রবেশ করেন মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা হলে ভর্তি হচ্ছিলেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: আমিনুল হক ভূইয়া বলেন, আমাদের তিনটি ছাত্রহলে ভর্তি প্রক্রিয়া যারা ইতিপূর্বে আবেদন করেছে, তাদেরটা বিধি মোতাবেক হল প্রশাসন সম্পন্ন করবে। এবং সেটা হল প্রশাসন আজ থেকে শুরু করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় হল হচ্ছে ছাত্রদের, ছাত্ররা হলে থাকবে এটা হচ্ছে নিয়ম। আমরা আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পরস্পরের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদান করবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়, হল ও পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে সবসময় চেষ্টা করি।
এ বিষয়ে শাবি ছাত্রলীগ যুগ্ম সম্পাদক সাজিদুল ইসলাস সবুজ বলেন, প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা হলে উঠতে পেরেছি। এখন আমাদের দাবী একটাই সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত অমান্যকারী সন্ত্রাসী যারা শিবির ও ছাত্রদলের সাথে লিঁয়াজো করে ক্যাম্পাসে ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিলো তাদের বিচার করা।
প্রসঙ্গত, শাবিতে আবাসিক হলের বৈধ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীদের হলে উঠানোর দাবিতে দীর্ঘদিন পর গত ৮ মার্চ ক্যাম্পাসে আসেন ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক গ্র“পের নেতাকর্মীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেধে দিলে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে চলে যায়।