স্কুলছাত্র সাঈদ হত্যার ঘটনা ॥ ওলামা লীগ নেতা রাকিবের দায় স্বীকার, গেদা ১০ দিনের রিমান্ডে

36

Marস্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর রায়নগর দর্জিবন্ধ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আবদুল মতিনের পুত্র ও শাহী ঈদগাহস্থ হযরত শাহ মীর (রহ.) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদ (৯)কে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় গতকাল সোমবার এবায়দুরের সহযোগী গ্রেফতারকৃত জেলা ওলামালীগ সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম রাকিব আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক মোঃ সাহেদুল করিম তার খাস কামরায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। প্রায় দুই ঘন্টার জবানবন্দীতে রাকিব পুরো ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। এর আগের দিন পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর (কং-৯৩৯) একই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছিলেন ।
জবানবন্দিতে ওলামালীগ নেতা রাকিবের বরাত দিয়ে কোতোয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার ফায়াজ আহমদ ফয়েজ জানান, হত্যাকান্ডের আগে ১০ মার্চ নগরীর জিন্দাবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে বসে শিশু সাঈদকে অপহরণের পরিকল্পনা করা হয়। ওইদিন বৈঠকে গ্রেফতারকৃত ৩ জন ছাড়াও জেলা ওলামালীগের প্রচার সম্পাদক মুহিবুল ইসলামসহ আরেক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সাঈদের মামা প্রবাসী ও বিত্তবান হওয়ায় অপহরণের টার্গেট নেয় তারা। পরে পরিকল্পনা মাফিক ১১ মার্চ বুধবার সাঈদকে অপহরণ করে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করা হয়।
এদিকে, গতকাল সোমবার পুলিশ ওই আদালতে গ্রেফতারকৃত আতাউর রহমান গেদার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়। পরে আদালত তার রিমান্ড শুনানী শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইতিপূর্বে গেদাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে পুলিশ ।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ জনের পুরো ঠিকানা হচ্ছে- ওসমানীনগর থানার আনোয়ারপুর গ্রামের শফি মিয়ার পুত্র বর্তমানে শাহপরান নিপবন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও মহানগর ওলামালীগের সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম রাকিব (২৬), ছাতক থানার মঈনপুর গ্রামের মৃত হবি রহমানের পুত্র বর্তমানে নগরীর ঝর্ণারপাড় ৭২ নং নিচতলা বাসার বাসিন্দা ও র‌্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা (৩৩) এবং জকিগঞ্জ থানার বাল্লা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র বর্তমানে নগরীর ঝর্ণারপাড় সবুজ ৩৭ নং বাসার বাসিন্দা ও এসএমপি পুলিশের কনেষ্টবল পদে চাকুরীরত (কং-৯৩৯) এবাদুর রহমান (২৪)
স্কুল ছাত্র সাঈদকে অপহরণের পর কনস্টেবল এবাদুর ও র‌্যাবের কথিত সোর্স গেদাকে চিনে ফেলায় তারা মুখচাপা দিয়ে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরপর লাশ ৭টি বস্তায় মুড়িয়ে রাখে। এ ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক তিন আসামী পুলিশের কাছে এভাবেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় বলে জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) রহমত উল্যাহ।