স্টাফ রিপোর্টার :
অপহরনের ৫ দিন পর গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় স্কুল ছাত্র আবু সাঈদের (৯) গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তিন দুষ্কৃতিকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো: রহমত উল্যাহ। আটককৃতরা হচ্ছে-এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল এবাদুর, জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও র্যাবের কথিত সোর্স গেদা মিয়া।
শাহী ঈদগাহ হযরত শাহ মীর (র.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সাঈদ গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর রায়নগর এলাকা থেকে অপহৃত হয়। অপহরনের পর দুর্বৃত্তরা মোবাইল ফোনে প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা ও পরে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বলে তার পিতা মতিন মিয়া অভিযোগ করেন। টাকা পাওয়ার আধ ঘন্টা পর সাঈদকে ফেরত দেয়ার কথা বললেও অপহরনকারীরা সঠিক অবস্থান দিচ্ছিল না। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ ও র্যাব তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। তবে, ঘন ঘন অবস্থান বদল করায় তাদের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না বলে জানান র্যাব-৯ এর কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মাইনুদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন।
এরপর শনিবার রাতে কুমারপাড়া ঝর্ণারপাড় আবাসিক এলাকার ৩৭ নং বাসার ৩য় তলা থেকে ৭ বস্তায় মোড়ানো শিশুটির গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । এ সময় শিশুটির গলার অংশে রশি পেঁচানো ছিল বলে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরির্দশক শামীমুর রশিদ পীর জানান। পুলিশের ধারণা করছে শিশুটিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশ বস্তায় মুড়িয়ে রাখা হয়।
এডিসি রহমত উল্যাহ জানান, আটককৃত তিনজন এ ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব এবং সিআইডি’র ক্রাইম সিনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেছেন বলে জানান রহমত উল্যাহ। খবর পেয়ে শিশুটির পরিবারের সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করেন।
অপহৃত সাঈদ সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর উপজেলার খাসিলা গ্রামের মতিন মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তারা নগরীর রায়নগর দর্জিবন্দস্থ বসুন্ধরা-৭৪ নং বাসায় বসবাস করেন। ছেলে অপহরনের ঘটনায় তার পিতা গত বুধবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।