জৈন্তাপুরে শ্বশুর বাড়ীতে ঘরজামাইর মৃত্যু, শাশুড়ীসহ আটক ২

37

21579এস এম রাজু, জৈন্তাপুর থেকে :
জৈন্তাপুরে আসামপাড়া গুচ্ছগ্রামে শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের হামলায় ঘর জামাতা নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বলছে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই, তবে এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের নিহতের শাশুড়ীসহ জন্য ২ জনকে আটক করছে পুলিশ।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, গত ১২ মার্চ বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টায় আসামপাড়া গুচ্ছগ্রামে শশুর বাড়ীর লোকজনের হামলায় জামাতা ওসমানীনগর থানার গোয়ালাবাজার গ্রামের জহির আলীর ছেলে জমির আলী (৪০) নিহত হয়েছেন। নিহতের ভাই আব্দুল আলী জানান, গত ১২ মার্চ নিহত জমির আলীর ছোট ভাই আব্দুল আলীকে মোবাইল ফোনে খবর দেন তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন থাকে মেরে ফেলার জন্য আটক করেছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছোট ভাই আব্দুল আলী তার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ী এসে জানতে পারেন তার ভাইকে জৈন্তাপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জৈন্তাপুর হাসপাতালে পৌছানোর আগেই খবর পান বড় ভাই জমির আলী মারা গেছে। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। চিৎকার করে বলেন, শ্বশুর বাড়ীর লোকজন পারিবারিক কলহের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তিনি জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশকে ঘটনার বিবরণ জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশের ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহ জনক ভাবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত জমির আলীর শাশুড়ী মাফিয়া বেগম ও ফুফু শাশুড়ী সুফিয়া বেগমকে আটক করে। এদিকে ঘটনার পর থেকে নিহত জমির আলীর শ্বশুর বাড়ীর লোকজন আত্মগোপন করে। নিহতের ভাই আব্দুল আলী বলেন বিগত ৭/৮ বৎসর থেকে শ্বশুর বাড়ী আসামপাড়া গুচছগ্রামে বসবাস জমির আলী।
এ বিষয়ে ২নং জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান- আপনারা ঘটনাস্থলে গিয়ে যা দেখেছেন এ বিষয়ে আপনার ভাল বলতে পারবেন। হত্যা কিনা স্বাভাবিক মৃত্যু এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। সত্যি যদি এটা পরিকল্পিত হয়ে থাকে তাহলে ঘটনার সাথে জড়ির কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে করবো।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার এস আই আব্দুল মোতালেব বলেন, আমরা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে অধিকতর তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। অফিসার ইনচার্জ গোলক চন্দ্র বসাক জানান- লাশের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি তবে মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া না পর্যন্ত এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা বলা যাচ্ছে না। আপাতত এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে অপমৃত্যু মামলা রজু করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা আগ পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন মামলা দায়ের করেনি।