স্টাফ রিপোর্টার :
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নগরীর তালতলায় ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর ও মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহরীয়ার আলম সামাদ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পিযুষ কান্তি দে গ্র“পের মধ্যে এ সংঘষের ঘটনা ঘটে।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর করা হয় ইসলামী ব্যাংকের তালতলা শাখা ও নবান্ন রেস্টুরেন্টসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া অগ্নিসংযোগ করা হয় ৪টি মোটরসাইকেল ও বেশ কয়েকটি রিকশা। এছাড়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রেজিস্টারি মাঠের ভাসমান কাপড়ের দোকানগুলোও পুড়িয়ে দেয়। সংঘর্ঘ চলাকালে ৩ রাউন্ড গুলি ও ৮-১০টি ককটেলের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিরব ভূমিকা পালন করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন। এক পর্যায়ে পিযুষ গ্র“প রেজিস্টারি মাঠের পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় ও সামাদ গ্র“প অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রেজাস্টারি মাঠ এলাকায় অবস্থান নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে সিলেট ছাত্রলীগের পিযুষ গ্র“প ও সামাদ গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সামাদ গ্র“পের ধাওয়া খেয়ে পিযুষ গ্র“প তালতলা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
বুধবারের ঘটনার বদলা নিতেই বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পিযুষ গ্র“পের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী অস্ত্রশস্ত্রসহ তালতলায় এসে দোকানপাট ও যানবাহন ভাংচুর করতে থাকে। হামলার খবর পেয়ে সামাদ গ্র“প এগিয়ে আসলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত বেঁধে যায়। সংঘাতকালে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবিনিময় করে দু’পক্ষ। একপর্যায়ে সামাদ গ্র“পের সাথে টিকতে না পেরে পিছু উঠে পিযুষ গ্র“প।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের কতোয়ালি মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।