কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
কুলাউড়ার জয়চন্ডি ইউনিয়নের রামপাশা গ্রামে ৬ সন্তানের জননী ছালেহা বেগম (৪০) এর মৃত্যুর ২০ ঘন্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় লাশ উদ্বার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ নিরসনের জন্য বুধবার বিকেলে সালিশ বৈঠকের ৩ ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৭ টায় গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
জানা যায়, স্বামী রেনু মিয়া স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন বলে প্রচার করলে এ নিয়ে বুধবার বিকেলে উপজেলার জয়চন্ডি ইউনিয়নের রামপাশা গ্রামে রেনু মিয়ার বাড়ীতে এক সালিশ বৈঠক করেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের মুরব্বিরা। সালিশকারীরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ও উপস্থিত স্থানীয় কাজি মাওলানা মখলিছুর রহমান এর মতামত অনুযায়ী তালাক বিধিমোতাবেক হয়নি বলে জানান। পরবর্তীতে কাজির ফতোয়া অনুযায়ী সংসার করার কথা থাকলেও রেনু মিয়া স্ত্রীকে তালাকে অনড় থাকায় অভিমানে স্ত্রী ছালেহা বেগম ঐদিন সন্ধ্যায় বিষপান করলে ছালেহাকে কুলাউড়া সদর হাসপাতালে সন্ধ্যা ৭ টায় নিয়ে আসা হয়। কুলাউড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছালেহাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হলেও পথিমধ্যে তার মৃত্যু ঘটে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান। এদিকে বুধবার রাত ৭টার দিকে গৃহবধূ ছালেহার মৃত্যু হলেও নানা কারণে মৃত্যুর সংবাদ নিয়ে থানা পর্যন্ত আসতে পারেননি পরিবারের লোকজন। পরবর্তীতে গতকাল ঘটনার ২০ ঘন্টা পর নিহতের ২য় ছেলে দেলোয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার অর্পনা নিপা ছালেহার মৃত্যুর বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
তবে হাসপাতালের আর এম ও ডা: নুরুল হক অচেতন অবস্থায় সালেহা বেগমকে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার হাসপাতালে রেফার করার কথা স্বীকার করেন।
জয়চন্ডি ইউপি চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন আহমদ জানান, বুধবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলমান বিরোধ নিরসনের কথা থাকলেও সন্ধ্যায় স্থানীয় এলাকার লোকজন ছালেহার মৃত্যু নিশ্চিত করলে আমি থানা পুলিশকে অবহিত করি।
কুলাউড়া থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ মতিয়ার রহমান জানান, নিহতের ছেলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।