জৈন্তাপুরে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল কলেজ ছাত্রী

40

এস এম রাজু জৈন্তাপুর থেকে :
জৈন্তাাপুরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেন কলেজ ছাত্রী তাহমিনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূত্রে জানা যায়- গত কয়েক দিন আগে জৈন্তিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম রহমানের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী শ্রীখেল গ্রামের আব্দুন নুর এর মেয়ে তাহমিনা বেগম (১৬) লিখিত অভিযোগ জানায়। সে তারা অভিযোগে উল্লেখ করে বলে সে একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে। তার পিতা আব্দুন নুর কোন প্রকার পূর্বানুমতি না নিয়ে দরবস্ত ইউনিয়নের ভাইটগ্রামের মৌলবী শফিকুর রহমানের ছেলে সাদ উদ্দিন(৩০) এর সাথে বিয়ে টিক করেছেন। এই্য বিবাহ বন্ধের জন্য এবং বাল্য বিবাহের অপকারিতা অভিভাবকদের বুঝানোর জন্য অধ্যক্ষ সহ উপজেলা নির্বাহীর হস্তক্ষেপ কামনা করে। কলেজ পড়–য়া ছাত্রী তাহমিনার আবেদনে সাড়া দিয়ে পূর্বে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ খালেদুর রহমানের নেতৃত্বে গত ২৪ ফেব্র“য়ারী মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দরবস্ত ইউনিয়নের শ্রীখেল গ্রামের আব্দুন নুর এর বাড়ীতে গিয়ে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী বরের পিতা মৌলভী শফিকুর রহমান ও কনের পিতা আব্দুন নুর কে বাল্য বিবাহের বিভিন্ন বিরূপ দিক গুলো তুলে ধরেন। পরিশেষে উভয় পরিবারের কর্তাব্যক্তিরা উপজেলা নির্বাহীর কাছে মুছলেখা দেন। লিখিত মুছলেখায় উল্লেখ করা হয় তাহমিনা পূর্ণ বয়স্ক না এ বিয়ে সম্পন্ন করা যাবে না। বর্তমানে তাহমিনার বয়স ১৬ বৎসর ১০ মাস চলছিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ, ইউপি সদস্য সহ এলাকার গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন- বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি, বিয়েটি হচ্ছে আমাকে কেউ জানায়নি। মেয়েটি প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়ায় আমরা বিষয়টি জানতে পারি। বিষয়টি বন্ধ হওয়ায়  জৈন্তিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম রহমান বলেন- মেয়েটি বিয়েতে রাজি নয়। তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাহমিনা আমার মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহীর কাছে লিখিত আবেদন করেছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ খালেদুর রহমান বলেন- তাহমিনার আবেদনের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থল শ্রীখেল গ্রামে যাই এবং বিয়ে বন্ধ রখার জন্য উভয় পরিবার অনুরোধ করি। তারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক অপরাধ জেনে বিয়েটি বন্ধ করে দেয়। মেয়েটি সচেতন থাকায় আজ বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা পেলে আমি শুধু উছিলা করেছি মাত্র।