সোয়েব বাসিত :
জনসংখ্যা বিস্ফোরণের মতো সিলেটে বাড়ছে সাংবাদিকদের সংখ্যা। ডানে-বামে যেদিকেই তাকান কেবলিই সাংবাদিক। আর এদের মধ্যে কে যে আসল আর কে যে নকল বুঝা মুসকিল। রাস্তায় বের হলে যত না সাধারণ মানুষের গাড়ী তারও চাইতে বেশী সাংবাদিক, সংবাদপত্র বা চজঊঝঝ লেখা গাড়ীর সংখ্যা। বিশেষ করে সাংবাদিক বা চজঊঝঝ এতটুকু শব্দ লেখা মোটর সাইকেলের সঠিক সংখ্যা সিলেটে কত তার পরিসংখান বের করা সত্যই কঠিন। দিনে-দিনে এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে এবং শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা মুশকিল। এমনও অভিযোগ আছে সংবাদপত্র বা চজঊঝঝ লেখা মোটরসাইকেল ব্যবহার করে অনেকেই অনৈতিক কাজ করছেন যাদের কারোরই সাংবাদিকতা পেশার সাথে ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। কিছুদিন আগে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বা চজঊঝঝ লিখা মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর কথা বলা হলেও “রহস্যজনক” কারণে সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি এ ধরনের মোটরসাইকেল আরোহীদের চিহ্নিত করার চেষ্টায় মাঠে নেমেছেন। তারা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাংবাদিক বা চজঊঝঝ লেখা মোটর সাইকেল থামিয়ে আরোহীকে সত্যিকার ভাবে কোন প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাথে জড়িত কি না এ বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন। এতে অনেকেই ‘ভুয়া’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন এবং তাৎক্ষণিক তাদের মোটর সাইকেল থেকে মনোগ্রামটি খুলে ফেলে ভবিষ্যতের জন্য সর্তক করে দেয়া হয়েছে। আর তাদের এ উদ্যোগের ফলে নগরীতে অনেকটাই কমে গেছে সাংবাদিক বা চজঊঝঝ লেখা মোটরসাইকেলের সংখ্যা। তাদের এ উদ্যোগকে আমরা নিঃসন্দেহে স্বাগত জানাই। তবে আমরা মনে করি যারা এ ধরনের একটি
সময় উপযোগী উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের মাঝে এমন কেউ যেন সংশ্লিষ্ট না থাকেন যারা নিজেরাই কোন না কোন কারণে ‘বিতর্কিত’। কারণ ভূত তাড়াতে গেলে সরষের মধ্যেই যদি ভূত থেকে যায় তাহলে ভূত তাড়ানো কঠিন। আমরা চাই ফটো র্জানালিষ্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সময় উপযোগী এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক, চিহ্নিত হোক সাংবাদিক বা চজঊঝঝ লেখা ভুয়া মোটরসাইকেল আরোহী প্রতারকরা।