শাহ আলম শামীম, কুলাউড়া থেকে :
সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম রেল পথে ট্রেন দুর্ভোগে পড়েছেন রেলযাত্রীরা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে, ট্রেনের সিডিউল। বর্তমানে সড়ক যোগাযোগের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে রেলকে ব্যবহার করছেন যাত্রীসাধারণ। কিন্তু রেলে নাশকতার আশংকায় সব সিডিউল উলটপালট হয়ে গেছে। টিকিট কেটে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ট্রেনের দেখা পাচ্ছেন না। দুষ্কৃতিকারীরা রেললাইন উপড়ে ফেলার আশংকায় গতি কমিয়ে সতর্কে ট্রেন চলাচল করছে। ফলে রেলের সিডিউল মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। রাত ১১টা ১৫ মিনিটের ঢাকাগামী উপবন পরদিন বিকাল ৫টায়, সকাল ৯টা ২০ মিনিটের জয়ন্তিকা সন্ধা ৬ টায়, বেলা ৪টার পারাবত পরদিন বেলা পৌনে ১টায়, ৭টা ৪০ মিনিটের কালনী ১২টা ৪০ মিনিটে, চট্টগ্রামগামী উদয়ন রাত ১০টা ২০মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পরদিন দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কুলাউড়া ছেড়ে যায়। সকাল ১১টা ৩০ মিনিটের পাহাড়িকা ছেড়েই যাচ্ছেনা। আবার কখনও কখনও কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল করে দুটো ট্রেন একীভূত করে একটি যাচ্ছে। প্রতিটি ট্রেন ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা বিলম্বে সিলেটে পৌঁছে ও অনুরূপভাবে ১২/১৫ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে। গত ১০ দিন থেকে ট্রেনের যাওয়া আসার সিডিউলের চিত্র থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। কোন ট্রেন কখন যাচ্ছে কেউ বলতে পারছে না। এমনকি খোদ রেল ষ্টেশন কর্তৃপক্ষও জানেন না। ফলে যাত্রীরা পড়েছেন মহাদুর্ভোগে। ক্রমেই যাত্রীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। তবে ষ্টেশন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে যখন যে ট্রেন আসছে ওই ট্রেনের টিকিট বদলে দিচ্ছেন।
সরেজমিন সিলেট – ঢাকা রেলপথের কুলাউড়া ষ্টেশনে শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে অনেক নারী ও শিশু যাত্রীরাও এসে ভিড় করছেন সিলেট থকে ছেড়ে আসা সকাল ৯টা ২০ মিনিটের জয়ন্তিকা সন্ধা ৬টার দিকে কুলাউড়া ষ্টেশনে এসে পৌছবে। ট্রেনযাত্রী সিরাজুল ইসলাম, কাতার প্রবাসী রিয়াজ আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, পারভেজ আহমদ, ফুয়াদ মিয়া, শিরিন বেগম, রুজিনা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধে কর্মসূচীতে ভোগান্তি পড়েছেন সময়মত ট্রেন ছাড়ছে না সকাল ৯ টা ২০ মিনিটের জয়ন্ত্রিকা ট্রেন এখন ৬ টায় কুলাউড়া ষ্টেশনে পৌছবে।
কুলাউড়া ষ্টেশন মাস্টার মির্জা সামছুল আলম জানান, অবরোধের কারণে সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে এটি হচ্ছে। শিগগিরই সিডিউল ঠিক হয়ে যাবে।