স্টাফ রিপোর্টার :
বিভিন্ন ইস্যুতে হরতাল ও লাগাতার ধর্মঘটের কারণে সিলেটের পাম্পগুলোতে (রিফুয়েলিং ষ্টেশন) জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ পাম্প এখন জ্বালানী তেল শূন্য। অনেক পাম্পে তেল শেষ হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে তেল না আসলে সিলেট জেলার ১১৪টি পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
জ্বালানী তেল ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে চলছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ। রাজনৈতিক এই অস্থিতিশীলতার কারণে রেলের ওয়াগন করে চট্টগ্রাম থেকে ডিজেল ও অকটেন আসা বন্ধ রয়েছে। একইভাবে নিরাপত্তাহীনতায় গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ও আরপিজিসিএল থেকে পেট্রোল সরবারহ বন্ধ রয়েছে পাম্পগুলোতে। ফলে সিলেটজুড়ে দেখা দেয় জ্বালানী তেলের চরম সংকট।
সূত্র জানায়, সিলেট জেলায় প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ লিটার ডিজেল ও প্রায় ৪ লাখ লিটার পেট্রোলের চাহিদা রয়েছে। অবরোধের কারণে জ্বালানী তেল পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে ডিজেল ও পেট্রোল শূন্য ছিল সিলেটের পাম্পগুলো। গত মঙ্গলবার কড়া পুলিশী প্রহরায় সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা ও আরপিজিসিএল থেকে প্রায় ৬ লাখ লিটার পেট্রোল এনে পাম্পগুলোতে সরবরাহ করায় পেট্রোল সংকট আপাতত কেটেছে। এই পেট্রোল দিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত পাম্পগুলো খোলা রাখা সম্ভব হয়। এদিকে, পেট্রোল সংকট আপাতত কাটলেও কাটেনি ডিজেল ও অকটেন সংকট। চট্টগ্রাম থেকে রেলের ওয়াগন আসা বন্ধ থাকায় গত একসপ্তাহ ধরে ডিজেল ও প্রায় একমাস ধরে অকটেন শূন্য রয়েছে পাম্পগুলো।
সিলেট পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্ট এন্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটের ১১৪টি পাম্প ডিজেল ও অকটেন শূণ্য। গত মঙ্গলবার সীমিত পরমাণে যে পেট্রোল সরবরাহ করা হয়েছে তা দিয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত চলবে। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ডিজেল ও অকটেন না আসলে জ্বালানী তেল সংকটের কারণে সিলেটের সকল পাম্প হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে।