পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কামালী ॥ নগরীর সাদাটিকরে ভূমি দখলের অভিযোগ সত্য নয়

50

press con pic (1) 31.12.14স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশী বংশদ্ভোত বৃটিশ নাগরিক জগন্নাথপুর উপজেলার শাহারপাড়া এলাকার মৃত শাহ জহির আলম কামালীর পুত্র শাহ আলম কামালী তার বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগকে অস্বীকার করে বলেছেন আমি সাদিপুর দ্বিতীয় খন্ড মৌজায় ১২ শতক ভূমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছি। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে এক পাল্টা সংবাদসম্মেলনে তিনি আরো বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর সাদাটিকর এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র মতিন মিয়া আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অপপ্রচার করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে শাহ আলম কামালী বলেন, নগরীর সাদাটিকরে সাদিপুর ২য় খন্ড মৌজায় ২৬৪ নং খতিয়ানে ও ৮২৮ নং দাগে এসএ রেকর্ডীয় মালিক ও দখলদার মতিন মিয়ার চাচা বাবু মিয়া ও আবন মিয়ার নিকট থেকে ছৈদ মিয়া এবং ছৈদ মিয়া থেকে আলাল মিয়া পরবর্তীতে আলাল মিয়ার নিকট থেকে আমি ১২ শতক ভূমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছি। শুধু তাই নয় উক্ত ভূমিতে আমি মাছ চাষ করে আসছি। গত পহেলা ডিসেম্বর মতিন মিয়া গংরা আমার পুকুর থেকে মাছ চুরি করে নেয় এবং আমার নামীয় নামফলক ভেঙ্গে ফেলে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে মতিন মিয়া ও তার পুত্র জুনেদ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি প্রদান করে। মতিন মিয়া উক্ত ভূমির কোনো রকমের মালিকানা দাবি করার সুযোগ নেই। আমি মাছ চুরি ও নামফলক ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগে ঘটনার পরপরই এসএমপির শাহপরাণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে।
তিনি আরো বলেন, মতিন মিয়া বাদী হয়ে সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ৯৪/১১ নং স্বত্ব মামলা ও ভূমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার একটি আবেদন করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে মতিন মিয়া আদালতের যে নিষেধাজ্ঞার কথা বলেছেন তা সত্য নয়। মূল কথা হচ্ছে তিনি উক্ত ভূমির উপর একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক খারিজ করে দেন। বর্তমান মাঠ জরিপে উক্ত ভূমি আমার নামে রেকর্ড রয়েছে। ত্রিশ ধারায় মতিন মিয়া ১৭ নং আপত্তি দায়ের করলে তা শুনানী শেষে নামঞ্জুর হয় এবং রেকর্ড আমার নামে বহাল থাকে। ত্রিশ ধারা নিয়ে সময় ক্ষেপনের অভিযোগ মোটেও সত্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম কামালী আরো বলেন, মতিন মিয়া যেসব সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করেছেন এবং থানা পুলিশের সাথে আমার সখ্যতার কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বরং মতিন মিয়া ও তার ছেলে কতিপয় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করে আসছে। মতিন মিয়া বেআইনীভাবে জমি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করার জন্য নানা রকম ফন্দিফিকির করছে। তিনি বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।