জেড.এম শামসুল :
মহানগরীতে গণশৌচাগার না থাকায় মানুষ্য বর্জ্যরে দুর্গন্ধে পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষিত হচ্ছে। গণশৌচাগারের অভাবে নগরীতে আসা হাজার হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। যা নগর কর্তৃপক্ষের দেখেও না দেখার ভান করছেন। বিভিন্ন স্থানে মনুষ্য বর্জের গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে চলতে হয়।
নগরীর টার্মিনাল, রেল ষ্টেশন, বন্দরবাজার, সোবহানীঘাট, আম্বরখানা, লামাবাজার, নয়াসড়ক, ধোপাদীঘির পার, শাহজালাল (রহ.) ও কীন ব্রীজের উভয় পাশের জনাকীর্ণ স্থান সমূহে কোন প্রকার শৌচাগার না থাকায় পথচারী সহ নগরীতে আগত পর্যটকদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। যা পবিত্র নগরীর সুনাম নয়, দুর্নাম বয়ে আনছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নগরীর সৌন্দর্য্যে বর্ধনে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও গণশৌচাগার নির্মাণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করে যে গণশৌচাগার গুলো ছিল তাও বিভিন্ন কৌশলে বন্ধ করে দিয়েছেন।
নগরীতে প্রয়োজনীয় শৌচাগার না থাকায় নগরীতে বসবাসরত ভবঘুরে, বিভিন্ন পয়েন্টে, টার্মিনাল, রেল ষ্টেশনে ভাসমান লোকজন যেখানে সেখানে প্রশ্রাব, পায়খানা করে পরিবেশ নষ্ট করছে। যা জনস্বাস্থ্য ভেঙে পড়ায় উপক্রম। তাই নগরীর কীন ব্রীজ, টার্মিনাল, রেল ষ্টেশন, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার আম্বরখানা, ধোপাদীঘির পার, উপশহর পয়েন্ট, সুবিদবাজার, নয়াসড়ক, জেলরোড, লামাবাজার, পুলিশ লাইন, তালতলা, সুরমা মার্কেট পয়েন্ট, শাহী ঈদগাহ, মিরাবাজার, টিলাগড়সহ সকল পয়েন্টে গণশৌচাগার নির্মাণ করা জরুরী। এ জন প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে জনাকীর্ণ এ নগরীতে বসবাস সহ চলাফেরায় দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাবে।
নগরীতে প্রতিনিয়ত জনগনের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে প্রতিটি বিপনী কেন্দ্র গুলোতে লোকজন ভীড়ে চরম। এছাড়াও প্রতিটি পবিত্র স্থানগুলোতে আগত পুণ্যার্থীদের ভীড় কম নয়। প্রতিদিনই নগরীতে পর্যটকসহ পুণ্যার্থীদের ভীড় লক্ষনীয়। এসব অগণিত মানুষের জন্যে প্রয়োজনীয় শৌচাগার না থাকা ভোরের অন্ধকারে ভাসমান মানুষ যেখানে সেখানে প্রশ্রাব-পায়খানা করে পরিবেশ দূষিত করে তুলছে।