সৌমেন কুমার
রুক্ষ্ম মন চাঁদের হাসি দেখেও ভাবে ভেংচি
জ্যোৎস্নাস্নানে অতৃপ্ততার নখর প্রখর
যাতনার প্রলেপ লেপে দেয় নিদ্রাহীন অক্লান্ত
শ্রমীর।মমতাময়ী নাইটঙ্গেল তেরেসার
করস্পর্শ আকুল প্রাণ শুষ্ক অসাড়তায়
নির্জীব হয়ে পড়ে প্রৌঢ় বিজ্ঞের নিথর অঙ্গের ন্যায়
স্বপ্নালোকপ্লাবিত অসীম শূন্য আকাশ
অলস অভিশপ্ত ডানপিটে ছেলের মত শত্র“
সাজতে পছন্দ করে কেবল আমার জন্য
অসীম সুন্দর বিকলাঙ্গ পৃথিবীর নীরবতা
আমার মর্মাহত হৃদয় পীড়ায়
দেঁতো হাসির চেয়ে তীক্ষèবাণ বর্ষণ করে
আর ঐ জোনাকীর ক্ষুরধার নিষ্ঠুর ছুরি হাসি
আমার পৌরুষের শেষ টুকরো নিয়ে টানা হেঁচড়া
করে জিতে যায় অবশেষে। আর আমি মুখপোড়া
হনুমানের ন্যায় অসহায় চোখে খুঁজি এক টুকরো
সজীব সবুজ জীবন রণাঙ্গনে।
রানশূন্য থেকে যায় জীবনের ক্রিজ।