স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ১ হাজার ৪০ কোটি ২০ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা আয় ও সমপরিমাণ ব্যয় ধরে প্রণয়ন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে নগরীর আমান উল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এ বাজেট ঘোষণা করেন।
বাজেটে হোল্ডিং টেক্স, বিভিন্ন খাতের কর ও ফি, ইজারা, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনা ভাড়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন পার্ক থেকে টিকিট বিক্রিসহ বিভিন্ন খাত থেকে চলতি অর্থবছরে ১০১ কোটি ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মেয়র আরিফ।
অপরদিকে, বাজেটে আয়ের সমপরিমাণ টাকা ব্যয়ের মধ্যে শুধু রাজস্ব খাতেই মোট ৯০ কোটি ৪২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এছাড়া কোভিট-১৯ ও ডেঙ্গু মোকাবেলা, পরিছন্নতা, জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, যানজট নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প, গরুর হাট ও জবাইখানা নির্মাণ, খেলার মাঠ তৈরি, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান স্থাপন, উপাসনালয় স্থাপন ও উন্নয়ন, টিকাদান কর্মসূচি, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, খেলাধূলা ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রকল্প, বস্তি, রাস্তা-ব্রিজসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আয়ের সমপরিমাণ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়াও সিলেট মহানগরীর বর্ধিত এলাকার উন্নয়নে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ৪ হাজার ১ শ ৮৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান সিসিক মেয়র।
এটি তাঁর সম্ভবত শেষ ঘোষিত বাজেট উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন- ২ মেয়াদে মেয়র থাকাকালীন আমি নগরীর উন্নয়ন ও নগরবাসীকে সার্বিক সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। হয়তো এটাই আমার শেষ বাজেট ঘোষণা। আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নগরবাসীর ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।
সিসিকের অর্থ ও সংস্থাপন কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদের সঞ্চালনায় বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন- টানা ৩বার সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে দেশের সকল সিটির মধ্যে সিলেট সিটি প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। আরিফ বলেন- সাম্প্রতিক বন্যাকবলিত সিলেট অঞ্চল পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেয়র তথা সিসিকের কর্মতৎপরতা নিয়ে প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য সিটি কর্পোরেশনের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছে।
সিলেট নগরীর ধারাবাহিক উন্নয়নের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপিসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর প্রতি মেয়র আরিফ বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফ সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী- মরহুম এম সাইফুর রহমানকেও স্মরণ করেন তিনি। বলেন- বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ওই রাজনীতিবিদের কাছে আমি চিরঋণী। তাঁর আদর্শকে ধারণ করেই রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে সিলেট মহানগরীর উন্নয়নে কাজ করেছি।
পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, গীতা পাঠ ও ত্রিবেদী পাঠের মধ্যে দিয়ে বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, মহিলা ও পরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সিসিকের সকল কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
বাজেটে উল্লেখিত আয়ের খাতগুলো হচ্ছে-
হোল্ডিং টেক্স ৪৫ কোটি ২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের উপর কর ১৬ কোটি টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনঃ নির্মাণের উপর কর ২ দুই কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার উপর কর ৮ কোটি ৫০ পঞ্চাশ লক্ষ টাকা, বিজ্ঞাপনের উপর কর ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, বিভিন্ন মার্কেটের দোকান গ্রহীতার নাম পরিবতনের ফি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৮০ লক্ষ টাকা, ঠিকাদারী তালিকাভুক্তি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা, ল্যাব টেষ্ট ফিস বাবদ ৬০ লক্ষ টাকা, বাসটার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা, ট্রাক টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, খেয়াঘাট ইজারা বাবদ ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ৪ কোটি ৫০ হাজার টাকা, রোড রোলার ভাড়া বাবদ আয় ৫০ লক্ষ টাকা, রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ বাবদ আয় ৩০ লক্ষ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, দক্ষিণ সুরমা শেখ হাসিনা শিশু পার্কের টিকিট বিক্রয় থেকে আয় ৮০ লক্ষ টাকা, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, পানির লাইনের সংযোগ ও পুনঃসংযোগ ফিস বাবদ ১ কোটি টাকা, নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ ২ কোটি টাকা। সম্মানীত নগরবাসী নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য বকেয়া পাওনা পরিশোধ করলে বাজেট বছরে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব খাতে সর্বমোট ১০১ কোটি ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয় হবে বলে আশা করছি।
বাজেটে তুলে ধরা ব্যয়ের খাতগুলো হচ্ছে-
সরকারি উন্নয়ন সহায়তা থেকে বরাদ্দ খাতে ৫ কোটি টাকা, কোভিট-১৯ মোকাবেলা, ডেঙ্গু মোকাবেলা, পরিছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচার উপ-খাতসহ সরকারি বিশেষ মঞ্জুরী খাতে ৪৬ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৪৮০ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর নাগরিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবন্থাপনা আধুনিকায়নের জন্য আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, নগর ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা এলাকায় শেখ হাসিনা শিশু পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাইড স্থাপন খাতে ২ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর যানজট নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন ছড়া খনন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ প্রকল্প খাতে ১০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এসফল্ট প্লান্ট স্থাপন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে জমি অধিগ্রহণ খাতে ২০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ফিলিং স্টেশন স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের প্লাষ্টিক রিসাইক্লিং প্লান্ট স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, কুমারপাড়ায় সিটি কর্পোরেশনের নগর মাতৃসদন ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, তোপখানাস্থ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ভ’মিতে আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার ও স্টাফ কোয়াটার নির্মাণ প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, উৎপাদন নলকুপ স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মিরের ময়দান এলাকায় ষ্টাফ কোয়াটার নির্মাণ খাতে ১ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীতে যানজট নিরসনে ৪টি পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি গরুর হাট নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি জবাইখানা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি খেলার মাঠ নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর গণের স্থায়ী অফিস নির্মাণ খাতে ১০ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মাজার, কবরস্থান, শশ্মান ঘাট, ঈদগাহ উন্নয়নে ১০ কোটি টাকা, ইউনিসেফের অর্থায়নে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সুবিধা বঞ্চিত মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা এবং টিকাদান কর্মসূচী খাতে ২ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীতে সুয্যারেজ মাস্টার প্লান এর ফিজিবিলিটি ষ্টাডি করন প্রকল্প ৫ কোটি টাকা, ৫০ এমএলডি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন্য ১৩.১৩ একর জমি অধিগ্রহণ ৫ কোটি টাকা, আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প খাতে ৫০ লক্ষ টাকা, নগরীর বস্তি সমুহের উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২ কোটি টাকা এবং সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প খাতে মার্কেট নির্মাণ বাবদ প্রাপ্ত সালামী ও সিটি কর্পোরেশন আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় গ্রহণ বাবদ মোট ৩৭ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
রাজস্ব খাতে সর্বমোট ৯০ কোটি ৪২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে। তন্মধ্যে সাধারণ সংস্থাপন খাতে ৩৪ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা, শিক্ষা ব্যয় খাতে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান খাতে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, স্বাস্থ্য ও প্রয়ঃপ্রণালী খাতে ব্যয় বাবদ ১৬ কোটি ৮২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ খাতে ব্যয় ৫০ লক্ষ টাকা, বৃক্ষ রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় খাতে ৪৫ লক্ষ টাকা, মোকদ্দমা ফি ও পরিচালনা ব্যয় বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা, জাতীয় দিবস উদযাপন ব্যয় খাতে ৭০ লক্ষ টাকা, খেলাধূলা ও সংস্কৃতি ব্যয় খাতে ১৫ লক্ষ টাকা, মেয়র কাপ ক্রিকেট, ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট ব্যয় বরাদ্দ ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা, রিলিফ/জরুরি ত্রাণ ব্যয় বরাদ্দ ২ কোটি টাকা, আকস্মিক দুর্যোগ/বিপর্যয়/করোনা ব্যয় বরাদ্দ ২ কোটি টাকা, রাস্তার বৈদ্যুতিক বাতির রক্ষণা-বেক্ষল ব্যয় বরাদ্দ ৩ কোটি টাকা, কার্যালয়/ভবন ভাড়া বাবদ বরাদ্দ ১ কোটি টাকা, নিরাপত্তা/সিকিউরিটি পুলিশিং ব্যয় খাতে ৯০ লক্ষ টাকা, ডিজিটাল মেলা আয়োজনে ব্যয বরাদ্দ ২০ লক্ষ টাকা অনান্য ব্যয় খাতে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া পানি সরবরাহ শাখার সংস্থাপন ব্যয় সহ পানির লাইনের সংযোগ ব্যয়, পাম্প হাউজ, মেশিন, পাইপ লাইন মেরামত ও সংস্কার সহ সর্বমোট ১৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেটে রাজস্ব খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যয় বাবদ মোট ৩৪ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তন্মধ্যে রাস্তা নির্মাণ, রাস্তা মেরামত/সংস্কার, ব্রীজ/কালভার্ড নির্মাণ, ব্রীজ/কালভার্ড মেরামত/ সংস্কার, ড্রেন নির্মাণ/মেরামত, সরঞ্জাম যন্ত্রপাতি ও সম্পদ ক্রয়, সিটি কর্পোরেশনের ভবন নির্মাণ/মেরামত, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ষ্টাফ কোয়াটার নির্মাণ ও সংস্কার, ঢাকায় সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব লিয়াজো অফিসের জন্য ফ্ল্যাট ক্রয়, কসাই খানা নির্মাণ/ময়লা আবর্জনা ফেলার জায়গা উন্নয়ন, সিটি কর্পোরেশনের যানবাহন রক্ষায় গ্যারেজ নির্মাণ, সিটি কর্পোরেশনের যানবাহন রক্ষণা-বেক্ষণে ওয়ার্কসপ নির্মাণ, হাট বাজার উন্নয়ন, বাস টার্মিনাল সংস্কার ও উন্নয়ন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পাঠাগার নির্মাণ, নাগরিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, গভীর নলকূপ স্থাপন, এমজিএসপি প্রকল্পের রক্ষণা-বেক্ষণ কাজের নিজস্ব অর্থ ব্যয়, সিটি কর্পোরেশনের জন্য জীপ গাড়ী ও ২টি আধুনিক এ্যাম্বুলেন্স ক্রয় এবং নারীদের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ ব্যয়সহ ইত্যাদি ব্যয় উল্লেখযোগ্য।