আইন প্রণয়নের মাধ্যমে লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেছেন সম্মিলিত ইসলামী দল সিলেটের নেতৃবৃন্দ। গতকাল ১০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলামের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে লিখিত এ স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যের মঘ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের আহ্বায়ক মুফতী ফয়জুল হক জালালাবাদী, সদস্য সচিব মাওলানা খলিলুর রহমান, খেলাফত আন্দোলন সিলেট জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল শায়খ মাওলানা নাসির উদ্দিন, আন্তর্জাতিক কোরআন তেলাওয়াত পরিষদ ইক্বরা সভাপতি ক্বারী হাফিজ মাওলানা আবু ইউসুফ চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোট জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা জহুরুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি হাফিজ মাওলানা নওফল আহমদ, নেজামে ইসলাম পার্টির নেতা ক্বারী আবু বকর, খেলাফত ইসলামী বাংলাদেশ মহানগর নেতা মাওলানা আমিন উদ্দিন, শায়খুল হাদিস মাওলানা ওলিউর রহমান চৌধুরী, কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ক্বারী মাওলানা জমির উদ্দিন, অধ্যক্ষ মাওলানা মখছুছুল করিম চৌধুরী, হাফিজ মাওলানা মিফতা উদ্দিন আহমদ, শায়খ মাওলানা আব্দুল মতিন, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হালিম, হাফিজ মাওলানা বদরুল হক, মাওলানা আব্দুস শাকুর, হাবিবুল্লাহ মাহমুদ প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের এদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সরকার প্রধান হিসেবে সর্বোপরি একজন মুসলিম রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আপনার দায়-দায়িত্ব অনেক বেশী। অপরদিকে ৯৫ভাগ মুসলমানের এদেশের অভিভাবক হিসেবে সর্বস্তরের জনগণের আপনার প্রতি প্রত্যাশাও অনেক। আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন, স্বঘোষিত ধর্মদ্রোহী মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ইসলাম, মহানবী (সা.) ও ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ পবিত্র হজ্ব নিয়ে কটুক্তি ও বিষোদগার করার ক্ষমাহীন ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। তিনি বিশ্বনবী রাসূল (সা.) কে আব্দুল্লাহর ছেলে ও হজ্বকে সাহাবায়ে কিরাম আজমাইনদের কামাই-রোজগারের উপলক্ষ্য এবং তাদেরকে ডাকাত হিসাবে আখ্যা দিয়ে একদিকে বিশ্বনবী (সা.) সম্পর্কে কটুক্তি ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন অপরদিকে সাহাবায়ে কিরামদের পূতঃপবিত্র চরিত্রে কালিমা লেপন করে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কলিজায় আগুন লাগিয়েছেন। ইসলাম, মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কিরামদের নিয়ে এমন গর্হিত ও কুৎসিত মন্তব্য কাফির-মুশরিক ও কোনদিন করার দু:সাহস দেখায়নি।
শুরু থেকেই বারবারই এই আত্মস্বীকৃত মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আপনার সরকারের কাছেই আবেদন-নিবেদন করে আসছি। দফায় দফায় আল্টিমেটামও দেয়া হয়েছে। পালিত হয়েছে গণবিক্ষোভ, মানববন্ধন ও স্বত:স্ফূর্ত হরতাল। স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের এই অরাজনৈতিক ও অহিংস ঈমানী আন্দোলনকে রাজনৈতিক রং দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ সকল ধর্মদ্রোহীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আপনার সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
অবিলম্বে স্বঘোষিত মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চয়তা একান্ত জরুরী। আপনার সরকার জনগণের প্রাণের দাবী যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ততই মঙ্গল। জনতার প্রাণের দাবীকে সরকার কোনভাবেই পাশ কাটাতে পারবে না। শুধুমাত্র গ্রেফতার করে জেলে পুরে তৌহিদী জনতার ঈমান রক্ষার আন্দোলন থামানো যাবে না। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে অনতিবিলম্বে সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মুরতাদদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সমগ্র ইসলামপ্রিয় জনতা সদয় সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। বিজ্ঞপ্তি