প্রধান অতিথির বক্তব্যে ন্যাপ ভাসানীর কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান বঙ্গদ্বীপ এম.এ ভাসানী বলেন, আমরা আর মাওলানা ভাসানীকে জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকীতে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। সিলেটের পুণ্যভূমি থেকে শপথ নিয়ে গেলাম এবং ঘোষণা করতে চাই খুব শীঘ্রই ১ ডিসেম্বর ঢাকাতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ন্যাপ ভাসানীর সদস্য সংগ্রহ সহ সাংগঠনিক কর্মসূচি দেশব্যাপী ঘোষণা দেয়া হবে এবং ন্যাপ ভাসানী উপজেলা ও জেলাওয়ারী কমিটি পুনর্গঠন করে আগামী ফেব্র“য়ারি মাসের মাধ্যমে জাতীয় কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ বিএনপির পর ন্যাপ ভাসানীকে তৃতীয় স্থানে দাঁড় করানোর অঙ্গীকার করিলাম। ন্যাপ ভাসানী তৃতীয় ধারা, তৃতীয় বিকল্প ও তৃতীয় শক্তি হিসেবে বাঙালির রাজনীতিতে নতুন করে আবির্ভূত হবে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ-বিএনপির পাশাপাশি ন্যাপ ভাসানীকে জাতীয় পার্টির চেয়ে শক্তিশালী রূপে দাঁড় করাবো বলে শপথ করেন এবং অঙ্গীকার করেন।
তিনি আরো বলেন, এখন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বা বিএনপি নয়, এ সংজ্ঞা ভুল। যারা জনগণের কথা বলবে, অর্থনীতির মুক্তি পথ দেখাবে, তারা সত্যিকার অর্থে বিরোধী দল। ন্যাপ ভাসানী ও মাওলানা ভাসানীর এখানে অতীত অভিজ্ঞতা ও অতীত বাস্তবতা আছে। বঙ্গদ্বীপ এম.এ ভাসানী এ দেশের প্রতিটি সঙ্কটময় মুহূর্তের সময় উপযোগী দেশবাসীর সামনে বক্তব্য প্রদান ও কর্মসূচি দিয়েছে। যদিও সেটা ছোট ও ক্ষীণ আকারে। তিনি বলেন, আল্লাহর উপর ভরসা রেখে ঐশ^রিক শক্তিতে বলিয়ান হয়ে ন্যাপ ভাসানীকে পূর্বে অবস্থায় নিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এখন আর ন্যাপ ভাসানী ও তার কর্মী বাহিনী ঘরে বসে নিশ্চুপ দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। রাজপথে সরব হবে। এ ব্যাপারে দেশবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি এই পুণ্যভূমিতে রায়হান হত্যার মূল আসামী এসআই আকবর ধরা পড়েছে। দেশবাসী এখনো তার সন্তুষ্টিজনক কোন জবানবন্দী মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছে না। সরকার যদি আকবর সহ তার অন্যান্য সহযোগীদের বাঁচানোর চেষ্টা করে, এ সরকারের তকতে তাউস কেঁপে ওঠবে। তিনি সরকারের শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি সোমবার সকালে রায়হানের মায়ের আবেগ আপ্লুত কান্না বিজড়িত কণ্ঠে তার মনে কথাগুলো শুনেছেন ও অবলোকন করেছেন এবং তার ৩ মাসের শিশুটিকে দেখে তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি রায়হানের মাকে কথা দেন, প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই আকবর সহ যারা সেদিন রায়হানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি হবেই হবে। ন্যাপ ভাসানী এ ব্যাপারে প্রয়োজন বোধে সিলেট সহ সমগ্র দেশবাসীকে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দিবে। সবাইকে ধৈর্য ধারণ করে ন্যাপ ভাসানীর পতাকা তলে সমবেত হওয়ার আহবান জানান।
মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৩ নভেম্বর সোমবার বিকাল ৩টায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ন্যাপ ভাসানী সিলেট জেলা সভাপতি এম.এ আহাদ এর সভাপতিতে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় সভাপতি এম.জে কিবরিয়া। বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কবি কামাল আহমদ, এম.এ আলী জালালাবাদী, মোঃ ইনু, সাংবাদিক এপলু। আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ভাসানী ছাত্র ফ্রন্টের নেতা কাজী পলাশ, মোঃ সাহেদ আহমেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি