জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চলছে নিকাহ রেজিস্ট্রার কার্যক্রম। এ নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওলানা আব্দুল খালিক বিগত ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেলে ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রারের পদটি শূন্য হয়। পরে মাওলানা আব্দুল খালিকের ছেলে জালাল উদ্দিন তার পিতার পরিবর্তে অবৈধভাবে নিকাহ রেজিস্ট্রারের কার্যক্রম চালিয়ে যান।
এদিকে এ শূন্য পদে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য চলতি ২০১৪ সালের ২৯ জুন সুনামগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট আবেদন করেন কলকলিয়া ইউনিয়নের আব্দুস শহীদ ও মাজিদুল হক নামের দুই ব্যক্তি। গত ২৭ অক্টোবর জালাল উদ্দিন অবৈধভাবে নিকাহ রেজিস্ট্রারের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে প্রতিকার চেয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের নিকট কলকলিয়া ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে ৪ জন স্বাক্ষরিত আরেকটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। অবশেষে গত ২৮ অক্টোবর জগন্নাথপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে এ শূন্য পদে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য সার্কুলার দেয়া হয়। সার্কুলারে বর্ণিত রয়েছে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু সার্কুলার দেয়ার পরও জালাল উদ্দিন অবৈধভাবে অনেক নিকাহ রেজিস্ট্রার করেছেন। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৭ নভেম্বর কলকলিয়া ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামের আফরোজ মিয়ার ছেলে জাকির মিয়া ও একই ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা গ্রামের হেলাল মিয়ার মেয়ে সুমেনা বেগমের নিকাহ রেজিস্ট্রার করেছেন জালাল উদ্দিন। এছাড়া আরো অনেক নিকাহ এভাবে রেজিস্ট্রার করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এসব নিকাহ রেজিস্ট্রারের বৈধতা নিয়ে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জালাল উদ্দিন জানান, তিনি কোন নিকাহ রেজিস্ট্রার করেননি। জগন্নাথপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান জানান, সার্কুলারের পরে নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত কেউ নিকাহ রেজিস্ট্রার করলে সেটি আইনগতভাবে অবৈধ। যদি জালাল উদ্দিন তা করে থাকে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।