স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ঘাসিটুলায় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাত ১০টা থেকে পৌনে ১২ টা পর্যন্ত ছাত্রলীগ নেতা তায়েফ ও স্থানীয় ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহমদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। আহতদের ৮ জনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- নগরীর ঘাসিটুলায় বেতবাজার সংলগ্ন ছাত্রলীগের কার্যালয়ে সাউন্ড সিস্টেমস দিয়ে গান-বাজানো চলছিল। পাশাপাশি স্থানে স্থানীয় কাউন্সিলর সালেহ আহমদ তার লোকজন নিয়ে বৈঠক করছিলেন। এক পর্যায়ে বৈঠক থেকে লোকজন গিয়ে গান বাজানোর জন্য নিষেধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উভয় পক্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) শাহ মো. মোবাশি^র জানান-ছাত্রলীগ নেতা তায়েফ আহমদ ও স্থানীয় কাউন্সিলর ছালেহ আহমদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত ১০/১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা তায়েফ আহমদের বড় ভাই তারেক আহমদ জানান- বিএনপি-জামায়াত শিবিরের সভা থেকে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ঢিল ছুড়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
কাউন্সিলর সালেহ আহমদ বলেন- আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে এলাকায় কমিউনিটি পুলিশ ও বাসা-বাড়ির মালিকদের সভা চলছিল। এসময় ছাত্রলীগ নেতা তায়েফের কার্যালয়ে উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেম বাজানোয় বক্ততা দেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। সভা থেকে লোক পাঠিয়ে নিষেধ করায় তারা এলাকার লোকজনকে মারধর করে। এতে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হলে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এদিকে, রাত ১২ টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরও পাশ^বর্তী শামীমাবাদ এলাকা থেকে সশস্ত্র অবস্থায় ছাত্রলীগের আরেকটি গ্র“প রওয়ানা দেয়। পরে পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দেয় বলে স্থানীয়রা জানান।
রাত সাড়ে ১২টায় সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান- পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।