বিশ্বনাথ উপজেলার ৩নং অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমাজসেবক মো. লিলু মিয়াকে নিয়ে ফেইসবুকে অশালীন ও বিরূপ মন্তব্য করার অপরাধে সালিশ বৈঠকে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছে এক যুবক। গত মঙ্গলবার অলংকারী গ্রামের আবদুল আলী পীর’র বাড়িতে অনুষ্ঠিত এ সালিশ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ চৌধুরী।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, অলংকারী গ্রামের হাজী মর্তুজ আলীর পুত্র নাজমুল ইসলাম মকবুল সম্প্রতি ফেইসবুকে চেয়ারম্যান মো. লিলু মিয়াকে নিয়ে অশালীন স্টেটাস দেয়। বিষয়টি পরবর্তিতে স্থানীয় লোকজনের নজরে আসলে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে মকবুলকে নিয়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাটি উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ চৌধুরীকে জানানো হলে তিনি সালিশের উদ্যোগ নেন। পরে মঙ্গলবার ওই সালিশে উপস্থিত হন অভিযুক্ত মকবুলের পিতাসহ হাজারো ব্যক্তিবর্গ। সেখানে মকবুল সবার কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে কৃতকর্মের জন্য নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে। সে জানায়, নিজের অজান্তে ফেইসবুকে চেয়ারম্যান লিলু মিয়াকে নিয়ে স্টেটাস দিয়েছিল। এজন্য সে অনুতপ্ত। সালিশে সে আরো জানায়, ফেইসবুকে যে স্টটাস দিয়েছিল তা সে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। পরে উপস্থিত সালিশগণ তাকে ক্ষমা করে দেন। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বিশিষ্ট মুরুব্বী হাজী আবদুল হাই, হাজী চেরাগ আলী, হাজী আবদুস সত্তার মোতাওয়াল্লী, হাজী আবদুল ওয়াহিদ মোতাওয়াল্লী, লিয়াকত আলী মোতাওয়াল্লী, মোতছির আলী, গিয়াস উদ্দিন, নানু মিয়া, হাজী আবদুল মন্নান, মফিজ মিয়া, আকলিছ আলী সরকার, মাহবুব হোসেন লিলু, নুরুল হক, জয়নাল, আতাউর রহমান, হুশিয়ার আলী, মোস্তাক, মোস্তফা, নানু মিয়া, আবদুল মজিদ, মাস্টার জিতু মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি