মুরাদ হাসান, জৈন্তাপুর
জৈন্তাপুর উপজেলার ঐতিহাসিক জৈন্তেশ্বরী বাড়ী প্রাঙ্গণে বসা মুক্ত বাজারে কোন মধ্যসত্ত¡ ভোগীর সাহায্য ছাড়াই পণ্য বিক্রির সুযোগ পাবে বিক্রেতারা। জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নিয়মিত থাকবে এই বাজার। নিজের পণ্য নিজে বিক্রি করুণ এই সংলাপকে প্রধান্য দিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, খামারী, পরিবারিক খামার, ক্ষুদ্র বাগানের মালিকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য এই বাজারে সরাসরি বিক্রির সুযোগ পাবেন। এছাড়া ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মুক্ত বাজারের স্বপ্ন দ্রষ্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে মুক্ত বাজার চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন-এতে করে মধ্যসত্ত¡ ভোগীদের হাত থেকে বাজার যেমন রক্ষা পাবে তাতে ক্রেতারা সুলভ মুল্যে খাঁটি পণ্যটি ক্রয় করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি ও প্রাণী সম্পদের অপার সম্ভাবনার একটি জায়গা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায় সম্প্রতি সময়ে অনেক কৃষক বিদেশি সবজি চাষাবাদ করছেন। সারাদেশে জৈন্তাপুর উপজেলার বিশেষ কিছু পণ্যের সমাদর রয়েছে যেমন জারা লেবু সহ লেবু জাতীয় বিভিন্ন ফসল। ক্রেতাদের পাশাপাশি মুক্ত বাজারকে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের সামনে জনপ্রিয় করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। যার ফলে জৈন্তাপুর ঐতিহাসিক স্থাপনার আশপাশে এই মুক্ত বাজারকে স্থান দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন-শুধুমাত্র কৃষি কিংবা খাদ্য পণ্যই মুক্ত বাজারে বিক্রির প্রধান উপকরণ নয়। বরং উপজেলার অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা তাদের বানানো হস্ত শীল্প, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর হাতে তৈরী বিভিন্ন পণ্য মুক্ত বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্য আনতে পারবেন।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মুক্ত বাজার সাধারণ মানুষ অর্থাৎ ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মাঝে বার্তা পৌঁছে দিতে উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীদের আহŸান জানিয়েছেন তিনি।