সুনামগঞ্জে হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

1

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জে হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে শপথগ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের আগে শহরে র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নবাগত জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার। হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অ্যাড. শহীদুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কবি ও লেখক সুখেন্দু সেন, সহ-সভাপতি অলিউর রহমান বকুল, সহ-সভাপতি অ্যাড. আসাদুল্লাহ সরকার, নেত্রকোনা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোনায়েম খান, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে কুদরত পাশা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, অর্থ সম্পাদক কলি তালুকদার আরতি, প্রচার সম্পাদক শহীদ নুর আহমদ, কার্যকরী সদস্য নির্মল ভট্টাচার্য্য, জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহানা আল আজাদ, তাহিরপুর উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব হোসাইন শরীফ বিপ্লব, যুগ্ম আহŸায়ক মাসরুম, শান্তিগঞ্জ উপজেলার নজরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হাসান বশির, জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল ইসলাম সর্দার, নেত্রকোনা জেলার মাইদুল খান, রাধিকা রঞ্জন তালুকদার, দিরাইয়ের নুরুল আজিজ, মিজবাহ উদ্দিন, আব্দুল হাই। হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বাঁধ নির্মাণ কাজে নীতিমালা মানা হয় না। পিআইসি গঠনে কোনো গণ শুনানী হয় না। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের রুমে বসে পিআইসি গঠন করা হয়। এতে প্রকৃত কৃষকেরা বাদ পড়ে। এসব কারণে হাওরের বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। দিনে দিনে এই দুর্নীতির মাত্রা বেড়েই চলেছে। বক্তারা বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে এখন বাঁধের সংখ্যা অনেকটা বেশি। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে জেলায় সোয়া ৪ শত বেড়িবাঁধের পরিবর্তে এখন প্রায় সাড়ে ৮ শত বেড়িবাঁধ সৃজন করা হয়েছে।