হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মতিন্দ্র মালাকার (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বুধবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে চুনারুঘাটে খোয়াই নদীর পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মতিন্দ্র উপজেলার গাভীগাঁও গ্রামের মনোরঞ্জন মালাকারের ছেলে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, দুপুরে ওই এলাকায় খোয়াই নদীর পাড়ে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পের পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি বলেন, মতিন্দ্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এটা নিশ্চিত। শ্বশুরবাড়ির লোকদের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। এছাড়া পরিবারের লোকজনও অভিযোগ করছেন নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) রাতে কাজিরকিল বাজারে তার সেলুনের দোকান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন মতিন্দ্র। এরপর বুধবার দুপুর পর্যন্ত তিনি নিখোঁজ থাকেন। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার যুদ্ধাপুর গ্রামের নিরঞ্জন মালাকারের মেয়ে সুমা মালাকারকে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্য বিয়ে করেন অতিন্দ্র। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে দুই পরিবারের মাঝে কলহ চলে আসছিল।