স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর টুকেরবাজারের তেমুখী পয়েন্টে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টার দিকে সিএনজি ও ট্রাক চালকদের দুই গ্রæপের মারামারিতে মারাত্মক আহত শহরতলীর শিবেরবাজার এলাকার উমাইরগাঁও এলাকার উপানন্দ পাল এর বড় মেয়ে শেলী রানী পাল (৩১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেছেন। তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সার্পোটে ৭দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুকালে তিনি দেড় বছরের একটা সন্তান ও স্বামী রেখে গেছেন।
সিএনজি চালক ও ট্রাক চালকদের সংঘর্ষে নিহত শেলী রানী পাল এর মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও আমরা এই ঘটনায় মর্মাহত। আহত থাকা অবস্থায় শেলী রানী পালকে হাসপাতালে আইসিইউতে দেখে এসেছি। আমরা তার চিকিৎসার জন্য সহায়তা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তার পরিবার তা গ্রহণ করেননি। নিহত মেয়েটির পরিবার সামাজিকভাবে নিস্পত্তি বা আইনী প্রক্রিয়ায় গেলেও আমরা সহযোগিতা করবো।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশিদ বলেন, ৯ সেপ্টেম্বর সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাক চালকদের সংঘর্ষের ঘটনায় পরেরদিন জালালাবাদ থানায় গুরুতর আহত শেলী রানী পাল এর ভাই টিপু পাল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। মঙ্গলবার যেহেতু আহত শেলী রানী পাল মৃত্যুবরন করেছেন তাই এ মামলাটি হত্যা মামলায় হিসেবে গৃহিত হবে। নিহত শেলী রানী পাল এর মামা রাজ কুমার পাল রাজু বলেন, এটি নির্মম একটি হত্যাকান্ড, আমরা এর সুবিচার চাই। আমরা মঙ্গলবার লাশ সমজিয়ে নিতে পারিনি এবং আজ বুধবার হয়তো ময়না তদন্ত শেষে লাশ দেওয়া হবে।