শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ চালের মার্কেটটি ভেঙে দিলো পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এর আগে ওই বিল্ডিংয়ের পলেস্তরা, ছাদের প্লাস্টার, সিঁড়ির রেলিং ভেঙে পড়তে থাকে। পৌর কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর পত্র দেয়।
সোমবার দিনব্যাপী শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় জরাজীর্ণ ভবনটি এক্সেভেটর দিয়ে মার্কেটি গুড়িয়ে দেয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সেই ভবনে চাল, আলু ও ডিম চিড়া-মুড়ি ব্যবসা পরিচালনা করা হতো। এসময় মার্কেটের ভেতর ১০৪ জন ব্যবসায়ী তাদের মালামাল সরিয়ে নিয়ে যায়।
জানা যায়, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শ্রীমঙ্গল উপজেলা সদরের বাজারটি সিলেট বিভাগের মধ্যে বড় বাজারগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৮৯-৯০ সালের দিকে চাল বাজারের শেড নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রায় সাড়ে তিন দশকের পুরনো এই শেড দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়েছিলো। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে পৌর কর্তৃপক্ষ, ক্রেতা এবং ব্যবসায়ীরা। পরে পৌর কৃর্তপক্ষ মানুষের জানমাল রক্ষার স্বার্থে জরার্জীণ ভবন ভেঙে দেয়।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো.জহিরুল ইসলাম জানান, নতুনবাজার এলাকায় চাল, আলু ও ডিম বাজারের মার্কেকটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা কনডেম কমিটি এটাকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় মার্কেটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সেখানে নতুন করে আধুনিক মার্কেট নির্মাণ করা হবে।’
মার্কেটের ডিম ব্যবসায়ী পরিতোষ দেব, চাল ব্যবসায়ী সুফিয়ান মিয়া, মিলন মিয়া জানান, তিনযুগ ধরে এখানে ব্যবসা করে যাচ্ছি। ঝুঁকিপূর্ণ এই মার্কেটটি পৌরসভা থেকে কোনো নোটিশ না দেয়ায় বিকল্প কোথাও ব্যবসা করবেন তা নিয়ে তারা ভেবে পাচ্ছেন না। তবে পৌরসভা থেকে বিগত কয়েক বছর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এই মার্কেটটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বাঁধার মুখে পড়ে বার বার নির্মাণ কার্যক্রম আটকে যায়।