স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, জাফলং ও সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে পৃথক অভিযানে ৪৮ লাখ ৯ হাজার ৭শ’ টাকার ভারতীয় চিনি আটক করা হয়েছে। রবিবার ও শনিবারে বিভিন্ন সময়ে এ চিনিগুলো আটক ও জব্দ করা হয়।
জাফলংঃ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের তামাবিল সোনা টিলা এলাকায় যৌথ বাহিনীর টাস্কফোর্সের অভিযানে ভারতীয় ২৫৪ বস্তা চিনি উদ্বার করা হয়েছে। রবিবার দুপুর থেকে গোয়ইনঘাটের সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে তামাবিল সোনাটিলা এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে ২৫৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্বার করা হয়। পরে তামাবিল কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উদ্বার হওয়া ভারতীয় চিনি ১১ লক্ষ ৮১ হাজার ১ শত টাকায় নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে। এসময় তামাবিল সীমান্ত ফাড়িঁর বিজিবি’র কোম্পানী কমান্ডার শহিদুল আলম, গোয়াইনঘাট থানার এসআই ফখরুল ইসলামসহ বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মো: সাইদুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে চোরাই পথে চিনি আমাদানী করে মজুদ করা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন বসত ঘর থেকে মজুদকৃত ২৫৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্বার করা হয়। সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দক্ষিণ সুরমাঃ দক্ষিণ সুরমা এলাকা থেকে ৩৯২ বস্তা ভারতীয় চোরাইচিনিসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় রশিদপুরস্থ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চেকপোষ্ট থেকে ট্রাকসহ চোরাইমাল জব্দ করে পুলিশ। এসময় আটককৃত গাড়ীচালক দেলোয়ার হোসেন (৪৪) বিয়ানীবাজারের বড়দেশের আব্দুল খালিকের ছেলে।
মহনগর পুলিশের মিডিয়া কর্মকতা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ৩৯২ বস্তা ভারতীয় চোরাইচিনির বাজারমূল্য রয়েছে ২১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। আটককৃত গাড়ীচালকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দক্ষিণসুরমা থানায় মামলা করা হয়েছে; আদলতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলে জানান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিশ্বম্ভরপুরঃ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর সীমান্তে ভারত থেকে চোরাইপথে আসা ১৫ লাখ টাকার চিনি জব্দ করা হয়েছে। ওই অভিযানে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সলুকাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী তপনের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারের পর চেয়ারম্যানের ভ‚মিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। তবে চেয়ারম্যান চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শনিবার সন্ধায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মফিজুর রহমান ভারত থেকে চোরাচালানে আসা চিনি জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নেতৃত্বে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কাপনা সীমান্ত এলাকার গুচ্ছ গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির গুদামে টাক্সফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ভারত থেকে চোরাচালানে আসা ২৫১ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়। যার বাজারমূল্য ১৫ লাখ ৬ হাজার টাকা।