ঈদুল আজহায় নগরীতে ব্যস্ত কামাররা

0

স্টাফ রিপোর্টার

নগরীর কামাড়পাড়ায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বেড়েছে ব্যস্ততা। কুরবানির জন্য মাংস কাটার সামগ্রী কেনার জন্য ক্রেতারা ভিড় করছেন কামারের দোকানে। দিনরাত চাকু, ছুরি, দা, বঁটিসহ নানা জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারেরা। গনগনে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের পিটাপিটিতে টুংটাং শব্দে মুখর কামারপাড়া।
সরেজমিন নগরীর তোপখানা এলাকায় কামারপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, দা, ছুরি, বঁটি, চাকু, চাপাতি ও ছোট কুড়ালসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করে সারিবদ্ধ করে পসরা সাজিয়ে রেখেছেন কামাররা। কেউ এসব বিক্রি করছেন, আবার কেউ কেউ ব্যস্ত নতুন নতুন এসব যন্ত্রপাতি তৈরিতে। তবে এসবের মধ্যে ছুরি, দা ও চাপাতির চাহিদাই বেশি লক্ষ্য করা গেছে। শুধু তোপখানায় কামারপট্টিই নয়, কাজির বাজার, সুরমা মার্কেট, আম্বরখানা, বন্দরবাজার ও দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন এলাকায় এখন একই চিত্র।
কয়েকজন কামার জানান, লোহার দাম বেশি হওয়ায় এবার কিছুটা বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে গবাদি পশুর মাংস কাটার যন্ত্রপাতি। এসবের মধ্যে ছুরি (ছোট) ২৫০ টাকা, মাঝারি ৩৫০ টাকা এবং বড় জবাই ছুরি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চাপাতি সাড়ে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, দা ৮০০-৯০০ টাকা, বঁটি প্রতিপিস সাড়ে ৩০০-৪০০ টাকা, ভোজালি ৫০০-৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা এবং হাড় কাটার জন্য ছোট আকারের কুড়াল ১ হাজার
থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পশুর চামড়া কাটার জন্য ছোট ছোট চাকু বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে দেড়শ টাকায়।
কামার বিজিত কর্মকার বলেন, প্রতি বছর কুরবানির এই সময়টার জন্য তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। বছরের এই সময়টাতে তাদের কেনাবেচা সবচেয়ে ভালো হয়।
দিলীপ কর্মকার নামে অপর একজনের ভাষ্য, কামারেরা এখন দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে কুরবানির জন্য দা, চাকু, চাপাতিসহ সব ধরনের যন্ত্র তৈরি করছেন। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে বেচাকেনা এখন ভালো। তিনি বলেন, ক্রেতারা কুরবানির জন্য যন্ত্রপাতি কিনতে ভিড় করছেন। ঈদের আগ মুহ‚র্তে আরও বেশি কেনাবেচা হবে।
এক ক্রেতা বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার কিছুটা বেশি দামে এসব সামগ্রী কিনতে হচ্ছে। তিনি জানান, কুরবানি উপলক্ষে কয়েকটি ছুরি ও দা কিনতে এসেছেন। এবার এসবের দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি।